লাউয়ে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি ও প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। কাজেই ওজন কমাতে এক্সপার্ট। সকালে খালিপেটে কাঁচা লাউয়ের রস খেয়ে দেখুন। এক মাসে ৫ কিলো পর্যন্ত ওজন কমবে!
ডায়াবিটিক রোগিদের জন্যও উপকারি। বিশেষ করে, যাঁদের সুগার রয়েছে, তাঁদের ঘনঘন গলা শুকিয়ে আসে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত লাউ খেয়ে দেখবেন! ভাল ফল পাবেন। পাশাপাশি, লাউ রক্তের কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে।
advertisement
লাউয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে। কাজেই হার্টের জন্য উপকারি।
লাউ রয়েছে দ্রবণীয়, অদ্রবণীয় ফাইবার ও জল। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটির মোকাবিলা করে। যাঁদের পাইলসের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য লাউ আদর্শ! জন্ডিস ও কিডনির সমস্যা হলেও লাউ খান। উপকার পাবেন।
লাউয়ের ৯৬% উপাদান জল। কাজেই, ঘাম, ডায়েরিয়া, হাই ব্লাড প্রেশার বা অন্য কোনও অসুস্থতার কারণে আমাদের শরীর থেকে যে জল বের হয়ে যায়, নিয়মিত লাউ খেলে সেই জলের ঘাটতি মেটে। ইউরিন ইনফেকশনে খুব উপকারি, শরীরও ঠান্ডা রাখে। হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে লাউয়ের বিকল্প খুব কম আছে। পাশাপাশি, লাউ পাতার তরকারি মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে, ইনসোমনিয়া বা ঘুমে সমস্যার সমাধান করে। লাউ দেহের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার রাখে আর পেট পরিস্কার থাকার কারণে ত্বকও ভাল থাকে! ব্রণর সমস্যা গায়েব হয় কিছুদিনের মধ্যেই! যাঁদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত, তাঁরা নিয়মিত লাউ খেলে উপকার পাবেন!