পাকা, পচা বা শুকিয়ে যাওয়া ফল থেকে আপনার কি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হতে পারে?
অনাক্রম্যতা বাড়ানোর কথা এলেই আমাদের প্রথম মাথায় আসে ফল খাওয়ার কথা। পুষ্টির জন্য আমরা অন্ধভাবে ফলের উপর নির্ভরশীল। তবে তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচা এবং তাজা ফল গ্রহণ করা একপ্রকার উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
মিউকরমাইকোসিস কী এবং এটি কোন ফলগুলিকে সংক্রামিত করতে পারে?
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যা মিউকরমাইকোসিস নামে পরিচিত, এটি মিউকর নমুনার সংস্পর্শের কারণে এক বিরল সংক্রমণ যা পরিবেশের মধ্যে বিশেষ করে সার, গাছপালা, পচা ফল এবং শাকসব্জির মধ্যে পাওয়া যায়। এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে এই মিউকরের নমুনাগুলি গ্রহণ করলে বা এর সংস্পর্শে এলে তা নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে আক্রমণ করতে এবং শ্বাসযন্ত্রের ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে কোভিড ১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউসের সঙ্গে ডায়াবেটিস এবং দীর্ঘায়িত স্টেরয়েডের সংস্পর্শে আক্রান্ত রোগীদের কালো ছত্রাকের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণে ফলের ভূমিকা প্রসঙ্গে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
শর্করার স্তর পরিচালনা করা কেন প্রয়োজনীয়?
সম্প্রতি AIIMS প্রধান, চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ফল থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হওয়ার কোনও যথেষ্ট প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। কিছু রাজ্য মিউকরমাইকোসিসকে মহামারীর তকমা দেওয়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এবং সেখান থেকেই নানা ভ্রান্ত ধারণা এবং গুজব সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে এই মিথগুলি এখন ছেঁটে ফেলা প্রয়োজন। গুলেরিয়া বলেছেন যে, ছত্রাকের বিপদ এড়াতে করোনা রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করাটাই সবচেয়ে বেশি দরকারি।
সংক্ষেপে
পাকা, পচা বা শুকিয়ে যাওয়া ফল থেকে যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছড়াচ্ছে তার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যাই হোক, এই ছোট ছোট অণুজীবগুলি পরিবেশে পাওয়া যায় তাই আপনি যে ফলগুলি খাবেন তাতে যেন ছত্রাক না পড়ে তা খাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত করতে হবে। ফলগুলি ধুয়ে পরিষ্কার করে তবেই খাওয়া উচিত। এছাড়া নিরাপদ ভাবে এই ফলগুলি খেতে হলে, প্রথমে গরম জলে লবণ এবং ভিনিগার মিশিয়ে ধুয়ে নেওয়া যেতে পারে।