আপনার যোগা পোজ Instagrammer দের মতো নাও হতে পারে -
Instagram এ এমন অনেক ভিডিও দেখা যায় যেখানে যোগাসন করবার সময় যথেচ্ছভাবে তাঁরা তাঁদের শরীরকে ভাঁজ করতে পারে। সেইরকমভাবে না করতে পারলে সেটা বিরক্তির বিষয় হয়ে দাঁড়ায় অনেকের কাছে। তবে এটা মনে রাখতে হবে যোগা করার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। আর কখনই অন্যকে কপি করা উচিত হয় এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের সকলের শরীর আলাদা, তাই সকলের যোগাসন করার পদ্ধতিও আলাদা হয়। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে যোগা করতে হবে।
advertisement
শরীরে পুরনো কোনও আঘাত বা প্রবলেম স্পট থাকলে সাবধান -
বাড়িতে যোগাসন করার সময় অনেকেই YouTube ভিডিওর সাহায্য নিয়ে থাকে। যদিও এটা একটা ভালো উপায় অনলাইনে ফ্রি ক্লাসের মাধ্যমে সহজেই যোগা শেখা যায়। তবে এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ওই ভিডিওটি শুধুমাত্র কোনও একজনের কথা মাথায় রেখে বানানো হয় না। তাই ভিডিও দেখে কোনও যোগা করতে গিয়ে যদি সমস্যা হয় বা শরীরে কোথাও ব্যাথা উপভোগ হয় তাহলে সেই যোগা পোজ না করাই ভালো।
সঠিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে -
যোগা করার সময় অনেকেই ভীষণ কষ্ট করে শ্বাস নিয়ে থাকে। এটা কখনও সঠিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। যোগা করার সময় সঠিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে যার ফলে শরীরে রক্তচলাচল থেকে শুরু করে বাকি বিষয়গুলিও সুষ্ঠভাবে হয়। যদি কোনও যোগা পোজ করতে গিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তাহলে সেটি মাসেল স্প্রেন বা অন্য কোনও আঘাত হানতে পারে।
অ্যালাইন করার পদ্ধতি শিখতে হবে
চ্যালেঞ্জিং যোগা পোজ করার সিদ্ধান্ত প্রথমেই নেওয়া উচিত নয়। প্রথমেই সহজ যোগা পোজ দিয়ে শুরু করতে হবে। যদি যোগা পোজ ও গ্রাউন্ডিং করার ক্ষমতা কারোর শক্তিশালী হয় তাহলে শরীরে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম থাকবে।
সাপোর্টিভ গিয়ার ব্যবহার করতে হবে
বেশিরভাগ মানুষ প্রথম দিনেই তারকসভাসন (Taraksvasana) বা হলাসন (Halasana) করার চেষ্টা করতে গিয়ে চোট লাগে। এক্ষেত্রে হয়তো হাত ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছায় না অথবা সঠিকভাবে পোজটা হয়না। এইসব ক্ষেত্রে, যোগা সাপোর্ট গিয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ব্লক, নি প্যাড অথবা বেল্ট। যার ফলে কোনও দুর্ঘটনা ছাড়াই সহজেই যোগা পোজ করা যায়। এছাড়াও ব্লকের পরিবর্তে কুশন, এবং বেল্টের পরিবর্তে ওড়না ব্যবহার করা যেতে পারে। যার ফলে খরচও কম হবে এবং সহজেই যোগা করা যাবে।