ধূমপান, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি, বায়ু দূষণ বা কার্ডিয়াক অ্যামালয়ডসিস কার্ডিওভাসকুলারের অন্যতম উৎস। সে ক্ষেত্রে নিজের হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত শরীরচর্চা প্রয়োজন। এর সঙ্গে অবশ্যই তামাকজাতীয় নেশাকে দূরে রাখতে হবে। পরিবার, কাছের মানুষ বা বন্ধুদের সঙ্গে প্রাণ খুলে মেশা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাই আমাদের কার্ডিওভাসকুলারের মতো প্রাণঘাতী রোগ থেকে দূরে রাখবে।
advertisement
জন সাধারণের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে, ১৯৯৯ সালে প্রথম ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন (World Heart Federation) এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (World Health Organisation) মিলিত প্রচেষ্টায় এই দিনটিকে সারা বিশ্ব জুড়ে হার্ট দিবস হিসেবে পালন করা হবে বলে ঠিক হয়। ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট (১৯৯৭-২০১১) অ্যান্টনি বয়েঁস দে লুনা (Antoni Bayés de Luna) এই বিশেষ দিনটিকে উদ্যাপনের কথা বলেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার বিশ্ব হার্ট দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রথম ২০০০ সালে ২৪ সেপ্টেম্বর মহাসমারোহে এই দিবস পালিত হয়।
(World Heart Day) বিশ্ব হার্ট দিবস পালনের উদ্দেশ্য
ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন এই দিনে জন সাধারণের মধ্যে হার্ট সম্বদ্ধীয় বিভিন্ন রোগ সহ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, স্ট্রোক ইত্যাদি নিয়ে সচেতনতা প্রচার করে। কী ভাবে নিজেদের হার্টের যত্ন নেব বা কী ধরনের ডায়েট ব্যবহার করা যেতে পারে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে তামাক জাতীয় নেশা সেবনে বিরতি প্রদান, স্বাস্থ্যকর আহার গ্রহণে হার্টের রোগ প্রায় ৮০% পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব- সে কথা বার বার বলা হয়।
(World Heart Day) বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২১: থিম
এই বছরের থিম ‘ইউজ হার্ট টু কানেক্ট’ (Use Heart to Connect)। থিমের মূল উদ্দেশ্য এই মহামারীর সময় বিভিন্ন আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে পরিবার বা আমাদের চারপাশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা। কেন না, হৃদয়ের সংযোগই পারে সমস্ত রকমের দূরত্ব ঘুচিয়ে দিতে। তাই এই বিশ্ব হার্ট দিবসে নিজের, নিজের প্রিয়জনের সঙ্গে অকপটে হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে তোলার অঙ্গীকার নেওয়া যেতেই পারে!