চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিডের পর ডেঙ্গি হলে সাবধান৷ আর সেই কারণেই আতঙ্কের নাম কোভিডেঙ্গি৷ অর্থাৎ, করোনার সময় যাঁদের ভেন্টিলেশনে বা আইসিইউতে থাকতে হয়েছে, ডেঙ্গির মরশুমে তাঁদের অনেকটা বেশি ঝুঁকি৷ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ সেই কারণেই চিকিৎসকরা বলছেন, ‘করোনা হয়ে থাকলে, এই সময় অনেক বেসি সতর্ক থাকতে হবে৷ অনেক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে তীব্র শ্বাসকষ্টের শিকার হয়ে৷’
advertisement
চিকিৎসকরা বলছেন, ‘অতীতে যাদের দু’বার করোনা হয়েছে, তাঁদের ডেঙ্গি হলে সব থেকে বেশি ঝুঁকি৷ জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা হলে কোনওভাবেই অ্যান্টিহায়োটিক বা পেনকিলার খেতে হবে না, প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে৷ তবে দু’দিন জ্বর থাকলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা হওয়া জরুরি৷ পাঁচদিনের ওপরে জ্বর থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি৷
চিকিৎসকরা বলছেন, ‘করোনার সময়ের মতো রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে কিনা সেটা দেখা উচিত৷ শিশুদের এবং বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত৷ সাধারণ সর্দি কাশি হলে বা সামান্যতম শ্বাসকষ্ট হলেই দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত৷ মোট ডেঙ্গি আক্রান্তদের আশি শতাংশের বেশি আগে করোনা আক্রান্ত ছিলেন৷
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের প্রাক্তন উপাধক্ষ্য বা সুপার ও চিকিৎসক আশিস মান্না ও চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরী, তিনি ও কয়েকজন চিকিৎসক মিলে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের সময় সমীক্ষা করে দেখেন, যে সমস্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি কোভিডে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন৷ একই সঙ্গে আইডি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন যে সমস্ত রোগীরা ডেঙ্গি আক্রান্ত তাঁদেরও মেডিক্যাল হিস্ট্রি তিনি খতিয়ে দেখেন৷ তার পরেই দেখা যায়, তাঁদের একটি বড় অংশ, প্রায় ৯০ শতাংশই আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷