আরও পড়ুনঃ রান্নাঘরের এই ‘মশলা’ রোগা করবে ম্যাজিকের মত, অল্পদিনেই তফাত দেখবেন হাতে-নাতে
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোগ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলাতেও। প্রায় প্রতি বছরই এই রোগ থাবা বসায় বর্ষাকালে। তবে এই বছর তা অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।
advertisement
হঠাৎ চোখ লাল হয়ে যাওয়া এই রোগের প্রধান উপসর্গ। এছাড়া, চোখের জ্বালা যন্ত্রণাও বাড়ছে। এই রোগ এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সাধারণত এই ধরনের রোগ প্রথমে শিশুদেরই সংক্রমিত করে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে। বুন্দেলখণ্ড মেডিক্যাল কলেজের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও শল্যচিকিৎসক ডা. অঞ্জলি বিরানি বলেন, ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসের ঘটনা হঠাৎ করে বেড়েছে। অনেক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনকও। তবে ১৪ দিনের মধ্যেই এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস থেকে ছড়াচ্ছে এই রোগ।
লক্ষণ—
চোখ লাল বা গোলাপি হয়ে যাওয়া, জ্বালা বা চুলকানি, চোখ থেকে জল পড়া, চোখের ভিতর কটকট করা, চোখ ফুলে যাওয়া এই রোগের লক্ষণ।
সতর্কতা—
এই রোগ খুবই সংক্রামক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে রোগ থেকে বাঁচতে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন।
নোংরা হাতে চোখ ঘষা, অন্যের তোয়ালে, রুমাল বা অন্য জিনিস ব্যবহার করলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। এই অবস্থায় পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
বাড়িতে কারও সংক্রমণ হয়ে থাকলে তাঁর থেকে নিরাপদ দূরত্ব রখতে হবে। হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করা যাবে না। খুব ভিড়ের মধ্যে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে ভিটামিন বি-২ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, দুধজাত খাবার, টমেটো, সবুজ শাক-সবজি এবং পেঁপে, বাদাম এবং কলা। ভিটামিন সি-এর জন্য সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন আমলকি খাওয়া উপকারী। বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। সে জন্য কুমড়ো, কমলা, গাজর, পেঁপে ও আম খাওয়া প্রয়োজন।