ঘন ঘন অসুস্থতা
শরীরে যথেষ্ট পরিমানে RBC উপস্থিত না থাকায় দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে কয়েকদিন পর পর অসুস্থতা দেখা যায়। এজাতীয় অসুস্থতা অনেক সময়ই বড় কোনও সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিনয়ত আয়রনযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
অলসতা ও ক্লান্তি
advertisement
আয়রনের অভাব থাকলে এক ধরনের অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও অলসতা চলে আসে। শরীরে স্ফূর্তির অভাব দেখা যায় এবং কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যখন শরীরের ব্লাড সেল রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালন করতে অক্ষম হয় তখন শরীরে শক্তি কমে যায় এবং ক্লান্তি অনেক বেশি বেড়ে যায়।
জিহ্বা ফুলে যাওয়া
আয়রন ঘাটতিত্ জিহ্বায় একধরনের পরিবর্তন চলে আসে। প্রায়ই জিভ কেটে যাওয়া থেকে শুর করে ব্যথা- সবই আয়রন ঘাটতির লক্ষন। মুখে স্বাদেও পরিবর্তন আসে এবং জিহ্বা ফুলে যায়।
রেস্টলেস লেগস সিনড্রোম
বিভিন্ন রিসার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সমস্ত মহিলাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তাঁরা খুব সহজেই এই অদ্ভুত সমস্যার শিকার হতে পারেন। এই সিনড্রোমে আক্রান্তদের পা ঘুমের মধ্যে নড়তে থাকে বা পায়ে একটা অস্থির অনুভূতি হয়, যার ফলে তাঁদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
চুল পড়া
ত্বক শুষ্ক ও মলিন হয়ে যাওয়া এবং চুল পড়া আয়রন ঘাটতির অন্যতম বড় লক্ষন। শরীরে আয়রনের অভাব থাকলে চুল ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে গোড়া থেকে ঝরে যেতে পারে। চেহারার জেল্লাও দিন দিন কমে যায়; ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায়।
শ্বাসকষ্ট
নিম্ন হিমোগ্লোবিন স্তর আমাদের রক্তের অক্সিজেন স্তরেও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে নিশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। হাঁটা চলা এবং সাধারণ শারীরিক কার্যকলাপের সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করা আয়রন ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ।