প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এখানে অভ্যাস বলতে বদভ্যাসই বোঝাতে চেয়েছেন। যেগুলোর অধিকাংশ মানুষের অজান্তেই তার মধ্যে বেড়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, সেই সব অভ্যাস ত্যাগ করাও কঠিন। সেরকমই কিছু বদভ্যাসের উদাহরণ এখানে দেওয়া হল। যেগুলো ছাড়তে পারলে জীবন সত্যিই বদলে যাবে।
খারাপ ঘুমের অভ্যাস: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ভালো মানের ঘুমের প্রয়োজন। না হলে খিটখিটে মেজাজ, বিরক্তি, মনসংযোগে অসুবিধা, স্মৃতি বিভ্রমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা ধীরে ধীরে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো শারীরিক অসুস্থতার দিকে পরিচালিত করে। জৈবিক সার্কাডিয়ান ক্লকের ব্যাঘাত ঘটলে স্তন, ডিম্বাশয়, প্রোস্টেট এবং কোলন ক্যানসারের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই মোবাইল ফোন দূরে রেখে পর্যাপ্ত ঘুমনোর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। ধ্যান বা মননশীল কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করলে সুবিধা হবে। বিভিন্ন অ্যাপের সাহায্যে সঠিক শ্বাসপ্রশ্বাসের কৌশল শেখা যায়। ক্যাফিনযুক্ত পানীয় এবং অতিরিক্ত কফিও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
advertisement
তামাক বর্জন: সামান্য তামাকও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ধূমপান, গুটখা, খৈনি বা অন্য যে কোনও ভাবে যেমন নাস, হুক্কা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কী কারণে ধূমপানের ইচ্ছে জাগে সেটা চিহ্নিত করে তা কাটানোর ব্যবস্থা করা উচিত। নিজে না পারলে পেশাদারদের সাহায্য নেওয়া যায়। তাঁরা ওষুধের মাধ্যমে আসক্তি মুক্তিতে সাহায্য করবেন।
খারাপ খাওয়ার অভ্যাস: এটা সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস এবং এই অভ্যাসে কমবেশি সকলেই দোষী। অনিয়মিত খাওয়ার ধরণ, মাঝরাতে স্ন্যাক্স, অত্যধিক ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই অভ্যাস স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো জটিল অবস্থার সৃষ্টি করা ছাড়াও, ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার নিশ্চিত করতে হবে। আমিষভোজী হলে রেড মিটের পরিমাণ কমাতে হবে। চিনি জীবন থেকে বাদ দেওয়াই ভাল। পাশাপাশি প্রতিদিন ২-৩ লিটার জলপান আবশ্যক।
মদ্যপান নৈব নৈব চ: তামাকের পর দ্বিতীয় আসক্তির জায়গা অ্যালকোহল। অনেকে বলেন, পরিমিত মদ্যপান ক্ষতিকর নয়। সত্যিটা হল, নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন শুরু করলে মাত্রা ছাড়িয়ে যাবেই। সেটাই ক্ষতির কারণ। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত তো হয়ই, মাল্টিসিস্টেম ডিজিজের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
সোফায় বসে পটেটো চিপস: সারাদিন চেয়ারে বসে কাজ। তারপর আবার টিভি বা মোবাইলে চোখ। এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। একঘণ্টা অন্তর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিয়ে সামান্য হাঁটাচলা করা উচিত। না হলে দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা সমস্ত ডিভাইস বন্ধ করে মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে হবে।