গবেষণায় দেখা গিয়েছে কমলালেবুতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মতো অবস্থা থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে। উপরন্তু, কমলা আমাদের রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। কিছু গবেষক মেমোরি এবং নলেজের ক্ষেত্রেও কমলার ইতিবাচক প্রভাব নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা নির্দিষ্ট নিউরোডিজেনারেটিভ অবস্থা প্রতিরোধ করতেও কমলার গুণাগুণ স্বীকার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : অতিমারির নতুন আতঙ্ক ওমিক্রনের মোকাবিলায় কী কী করবেন
advertisement
এছাড়াও কমলার খোসা ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে, আমরা এটিকে কিছু রেসিপিতেও ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। কারণ অবাক হওয়ার মতো কথা হলেও এটি মাংসের চেয়েও বেশি পুষ্টিকর।
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী কমলার কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে, জেনে নেওয়া যাক এক এক করে!
হজমশক্তি বাড়ায়। কমলা শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে, গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট পরিষ্কার করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কমলাকে কার্ডিয়াক টনিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যা শক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ক্লান্তি দূর করা এবং অনাক্রম্যতা বাড়ানো এর অন্যতম কাজ।
আরও পড়ুন : এইচআইভি পজিটিভ মানেই এডস--এরকম আরও অসংখ্য ভুল ধারণা এখনও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে
সাইট্রাস ফল বদহজম, পেটের ব্যথা, কৃমির উপদ্রব এবং কোলিক ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
কমলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন শোষণ করে। তবে নিজে আয়রনের ভালো উৎস নয়। তাই এটি আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত।
কমলা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও চমৎকার কাজ করে এবং ত্বকের ক্ষতি রোধ করে।
কমলালেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আরও পড়ুন : ব্রণ নিয়ে এই ভুল ধারণাগুলো মানছেন নাকি? এখনই বেরিয়ে আসুন ভ্রান্তি কাটিয়ে
কমলা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং চোখের জন্যও ভালো।
এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়ক।
কমলালেবু নিয়মিত ও পরিমিত ভাবে খেলে ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।