আমন্ড বাদাম যুক্ত চা-পানের উপকারিতা হল:
এই বাদাম প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে:
বাদাম চায়ে প্রচুর ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর:
এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে এবং যা কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কোষে অক্সিডেটিভ ক্ষয় হলে অকাল বার্ধক্য এবং নানা রকমের রোগ দেখা দিতে পারে।
advertisement
বেশি পরিমাণে ভিটামিন ই (Vitamin E) থাকে :
ভিটামিন ই ফ্যাট সলিউবল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমূহের অন্তর্গত। আমন্ড বাদাম হল ভিটামিন ই-র সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস। আর সেই কারণেই আমন্ড বাদাম চা পান করলে শরীরে সরাসরি ভিটামিন ই প্রবেশ করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:
বাদাম চায়ে ভরপুর মাত্রায় থাকে ম্যাগনেসিয়াম। বেশি মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে:
কয়েকটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে এলডিএল কমাতে বাদাম কার্যকর। আমন্ড বাদাম চা পান করলে খারাপ কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগ এই দুইয়ের ঝুঁকিই কম হয়।
খিদে কমায় এবং সামগ্রিক ক্যালোরি গ্রহণ কমায়:
বাদামে প্রোটিন এবং ফাইবার বেশি থাকে কিন্তু কার্বোহাইড্রেট থাকে কম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আমন্ড বাদাম চা পান করলে পেট তাড়াতাড়ি ভরে যায় এবং শরীর কম ক্যালোরি গ্রহণ করে। ফলে ওজন বাড়ার সুযোগ খুব একটা থাকে না।
হার্ট সুস্থ রাখে:
আমন্ড বাদাম চা পান হার্ট-সুস্থ রাখে। হার্টকে সুস্থ রাখতে শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই বাদাম চা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
বাদাম চা কী ভাবে তৈরি করতে হবে?
একটি পাত্রে জল নিয়ে কিছু বাদাম ভিজিয়ে রাখতে হব। পরের দিন, তাদের খোসা ছাড়িয়ে বাদামগুলি পিষে গুঁড়া করে নিতে হবে। তার পর সেই বাদাম গুঁড়ো জলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা পেস্ট তৈরি করতে হবে। সেই পেস্ট এবার জলে ফুটিয়ে নিতে হবে। পেস্টটি কিছুক্ষণ জলে ফুটতে দিয়ে, তার পর পছন্দ অনুযায়ী গরম বা ঠাণ্ডা অবস্থায় চায়ের পাতা ভিজিয়ে পান করা যায়।