এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মাথাব্যথা হালকা হোক কিংবা গুরুতর, উপেক্ষা করা উচিত নয়। যদি মাথাব্যথার জন্য দৈনন্দিন কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, ১০০টা মাথাব্যথার মধ্যে ৯০টাই সাধারণ। একটা-দুটো ওষুধেই সেরে যায়। কিন্তু বাকি ১০টা গুরুতর। যা অন্য দিকে মোড় নিতে পারে। তাই চিকিৎসককে দেখিয়ে নেওয়াই ভালো।
advertisement
আরও পড়ুন : দোকানে ডাকাতি করেই দুর্দান্ত নাচ শুরু চোরের! CCTV ফুটেজ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল...
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, অনেকেই নিয়মিত মাথাব্যথায় ভোগেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা আর সাধারণ মাথাব্যথা থাকে না। ব্যথার চরিত্র ভিন্ন হয়। তীব্রতা বা ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ে। ব্যথাও দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
কখন সতর্ক হতে হবে: ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে আচমকা মাথাব্যথা শুরু হলে সতর্ক হতে হবে। এই বয়সে ঘনঘন মাথাব্যথা, ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি অনেক সময় ক্যানসার বা এইচআইভি-র মতো রোগের পূর্বলক্ষণ। সর্দি, কাশি বা অতিরিক্ত ব্যয়ামের ফলেও অনেক সময় মাথাব্যথা হয়। একে ‘পজিশনাল হেডেক’ বলে। এগুলো গুরুতর নয়। পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগলেও মাথাব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে অনেক সময় মাথাব্যথা হয়, এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি। দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি-সহ মাথাব্যথা হলে সেটা আবার স্নায়বিক রোগের লক্ষণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, মাথাব্যথা হওয়ার কিছু পূর্বলক্ষণ রয়েছে। রোগী নিজেও সেটা বুঝতে পারে। এটাকে বলা হয় অরা। কারণ এটা খুব সাধারণ উপসর্গ। মাথাব্যথা কীভাবে শুরু হয়, কীভাবে তা বাড়ে এবং কটা ওষুধের পর ব্যথা থেকে উপশম মেলে সেটা বোঝা খুব জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে এই লক্ষণগুলির সঙ্গে মাথাব্যথা হলে উপেক্ষা করা উচিত নয় –
১। সব কিছু দুটো দুটো দেখা
২। বমি বমি ভাব বা ক্রমাগত বমি করে যাওয়া
৩। ঘুম না হওয়া, দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি
৪। সময় বা ব্যথানাশক ওষুধেও কাজ না হওয়া
৫। কথা বলায় সমস্যা, শরীরে আলস্য।
এই ধরনের সমস্যার সঙ্গে যদি ঘন ঘন মাথাব্যথা হয় এবং তা ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় থাকে তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।