নিজের প্রকৃত বাবা মাকে না চেনা, না জানা করিশ্মা ছোট থেকেই বড় হয়ে উঠেছেন ওই আশ্রমে। সামনেই তাঁর ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষা। তিনি বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করতেই উদ্যোগী হন আশ্রম কর্ত্ৃপক্ষ। তাঁদের পাশে সক্রিয় এবং সর্বতোভাবে ছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা।
advertisement
রোহতক জেলার ডেপুটি কমিশার অজয় কুমার জানিয়েছেন, তাঁরা করিশ্মার ইচ্ছে পূরণ করার জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। তরুণীর জন্য যোগ্য জীবনসঙ্গী এবং সেরা নতুন পরিবার খুঁজে দিতে তাঁরা একের পর এক ইন্টারভিউ নিয়েছেন। ডিএলএসএ এবং শিশুকল্যাণ কর্ত্ৃপক্ষও এই উদ্যোগে শামিল হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : কলকাতা থেকে কি বিদায় নিল শীত? নাকি ফিরবে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা? জানুন রাজ্যে কোথায়, কবে বৃষ্টির পূর্বাভাসও
অনাথাশ্রমে পালিত করিশ্মার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন জেলাপ্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন বিচারক এবং জেলাশাসক। ১৯ বছর বয়সি করিশ্মা আজন্ম বড় হয়েছেন অনাথাশ্রমে। সেখানেই তাঁকে রেখে যাওয়া হয়েছিল। পরে রোহতকের ঠিকানায় রেশনকার্ড পান তিনি। চালিয়ে যান লেখাপড়া। আগামী মাসে বসবেন ক্লাস টুয়েলভের চূড়ান্ত পরীক্ষায়।
করিশ্মার সম্বন্ধে সব তথ্য ও বিবরণ জানিয়ে সংবাদপত্রে বিয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হন একাধিক পাত্রপক্ষ। তার পর পাত্রদের ইন্টারভিউ নেওয়ার পর চূড়ান্ত করা হয় করিশ্মার জীবনসঙ্গীকে। অনাথাশ্রম থেকে এ বার নতুন জীবনের পথে পা রাখলেন করিশ্মা।