১. এমন কাউকে বেছে নেবেন না, যাকে আপনি চুম্বন করতে চান না! নয় তো ব্যাপারটা শুধু এক্সপেরিমেন্ট হয়েই থেকে যাবে, নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও সন্দেহ জাগতে পারে। ভালোও কিন্তু তেমন একটা লাগবে না!
২. চুম্বনের আগে সঙ্গী/সঙ্গিনীর সম্মতি প্রয়োজন- হঠাৎ করে তাঁকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললে তা দুই পক্ষেরই অস্বস্তির কারণ হবে।
advertisement
৩. চুম্বনের আগে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি মাথায় রাখা প্রয়োজন। তর্কবিতর্কের মাঝে বা সর্দিকাশি নিয়ে যেমন চুম্বন করা উচিৎ নয়! তাই রোম্যান্টিক মুহূর্ত তৈরি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয়।
৪. অন্যতম জরুরি শর্ত- প্রশ্বাসে যেন অপ্রীতিকর গন্ধ না থাকে! দরকার হলে মিন্ট ব্যবহার করে আগে থেকে শ্বাসে তরতাজা ভাব আনা যায়।
৫. সঙ্গমের মতো এক্ষেত্রেও সঙ্গী/সঙ্গিনী কী চাইছেন, সেটা শুরুর দিকের আলতো চুম্বনের মাঝে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। না হলে ব্যাপারটা উপভোগ্য হবে না।
৬. সঙ্গী/সঙ্গিনী যা করছেন, চুম্বনের মুহূর্তে, তাতে মন দেওয়া দরকার। সেটা অনুসরণ করা দরকার। তাহলে মুহূর্ত দুই পক্ষেই আনন্দদায়ক হবে।
৭. খুব বেশি দমবদ্ধ করা পরিবেশ তৈরি না করাই ভালো। শুরুটা হোক আলতো করে। তার পর কতটা নিবিড় হবে চুম্বন, সেটা দুই পক্ষের আগ্রহই বুঝিয়ে দেবে।
৮. শুধুই ঠোঁটে নয়, চুম্বনের মুহূর্তে সঙ্গী/সঙ্গিনীর চিবুক, গাল, কপাল, নাকের ডগা স্পর্শ করাটাও প্রয়োজন, তা নিবিড় অন্তরঙ্গতা তৈরিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি গাঢ় চুম্বনের মাঝে সাহায্য করে শ্বাস নিতেও।
৯. এক্ষেত্রে ঠোঁট দিয়ে শুরু করে চিবুক, গালের দুই পাশ, কানের পিছনে যাওয়া যেতে পারে। যা আবেশের মুহূর্ত রচনা করবে।
১০. চুম্বনে জিভ ব্যবহার করার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে, কিন্তু এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। সঙ্গী/সঙ্গিনীর জিভের ডগা ছুঁয়ে আবার ফিরে যেতে হবে ঠোঁটে। সেখান থেকে এবার নিজের জিভ দিয়ে স্পর্শ করতে হবে অপর পক্ষের জিভের তলা। ধীরে ধীরে আবার ফিরে আসতে হবে ঠোঁটে। সব শেষে, কিছুক্ষণ একে অপরের জিভ নিয়ে খেলা করা যায়।
১১. শুধু জিভ নয়, সতর্ক থাকতে হবে দাঁতের ব্যবহার নিয়েও। সঙ্গী/সঙ্গিনীর নিচের ঠোঁট এক্ষেত্রে খুবই আলতো করে সামনের দুই দাঁতে বড়জোর এক সেকেন্ড ধরে রাখা যায়, তার বেশি নয়।
১২. চুম্বনের সময়ে হাত কী করছে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। পরস্পরকে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে এক্ষেত্রে পিঠে বা বুকে নিবিড় ভাবে স্পর্শসুখ নেওয়া যায়, কিন্তু তা যেন বাড়াবাড়িতে না পৌঁছায়!
১৩. সব শেষে মনে রাখতে হবে একটাই কথা- চুম্বন যেন স্বতস্ফূর্ত হয়, না হলে সব দিক রক্ষা করলেও আনন্দের মুহূর্ত তৈরি হবে না, পরস্পরকে আর চুম্বন করতেও ইচ্ছা করবে না!