হ্যাংওভার আসলে কি?
অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে নার্ভ হয়ে পড়ে দুর্বল৷ আর সেই দুর্বলতা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে লাগে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময়৷ সেই সময়টাকেই সাধারণ অর্থে বলা হয় হ্যাংওভার৷ বিশেষ করে ড্রিংক করার পরের দিন সকাল থেকেই এর সুত্রপাত৷ মাথা ঝিম ঝিম, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘাম, ঘুম ঘুম ভাব, এই সবই হ্যাংওভারের উপসর্গ৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিভেদে, বয়সভেদে উপসর্গ আলাদাও হতে পারে৷ বিশেষজ্ঞদের মনে করেন, বয়সের সঙ্গে হ্যাংওভারের সর্ম্পক নাকি প্রচুর ৷
advertisement
বয়স ও হ্যাংওভার!
বয়স ও অ্যালকোহল যেন মাসতুতো ভাই৷ তাই মাঝে মধ্যে মিলন হলেও, টুকটাক খুনসুটি তো হতেই থাকবে৷ তবে জোয়ান বয়সে, মিলন হলেও, খুনশুটি শুরু হয় বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অ্যালকোহল ডিহাইড্রোজেনাস (এলকোহল পরিপাকের এনজাইম) সরবরাহ শরীরে কমে যায় ৷ আর সেই কমে যাওয়া এনজাইমের কারণেই অ্যালকোহলের প্রভাব বৃদ্ধি পায় শরীরে ৷ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বয়স্ক মানুষেরা কম পরিমাণ জল খান৷ আর সেই কারণেই হ্যাংওভারের মাত্রা বেড়ে যায়, খুব সহজে ৷
হ্যাংওভারের প্রতিকার
হ্যাংওভার কাটানোর জন্য তেমন কোনও নির্দিষ্ট প্রতিকার নেই ৷ ঠিকঠাক বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে জল, সঠিক সময়ে ও সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে হ্যাংওভারের সঙ্গে মোকাবিলা করা যায় খুব সহজেই৷ তবে মদ্যপানের সময়ই যদি নিজেকে কন্ট্রোলে রাখা যায়, তাহলে তো কথাই নেই৷ কারণ কথায় আছে না, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর!
তবুও যদি হ্যাংওভারের কবলে পড়ে যান, তাহলে এক গ্লাস জলে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে সকাল সকাল খালি পেটেই খেয়ে ফেলুন৷ ভুলেও কিন্তু এতে চিনি দেবেন না! কিংবা একটু বড় কাপে বা কফি মগে কড়া করে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন, এতেও কিন্তু চিনি থাকবে না ৷ বেশিক্ষণ সময় নিয়ে উষ্ণ জলে স্নান করুন৷ বেশিক্ষণ ধরে শাওয়ারের জল ঘাড়ে ফেলতে থাকুন৷ দরকার পড়লে, শাওয়ারের নীচেই ফ্রিহ্যান্ড ব্যায়াম করে নিন৷ দেখবেন ভালো ফিল করবেন ৷
Photo Courtesy--- Moonshine Cafe & Bar
