কানাডার নোভা স্কটিয়ার হ্যালিফাক্সের টেট্রা সোসাইটির (Tetra Society) প্রধান অ্যান্ড্রু জান্তজেন (Andrew Jantzen) স্বীকার করে নিয়েছেন যে এই প্রশ্নের মুখে তাঁদের পড়তে হয়েছে। কিন্তু তাঁর বক্তব্য খুব স্পষ্ট- বাস্তবকে এড়িয়ে না গিয়ে তার সম্মুখীন হওয়া উচিত!
অ্যান্ড্রু এই বিষয়ে বলছেন যে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা জন্ম থেকেই কোনও একটা কারণে সমাজের বাকি থেকে আলাদা, আবার অনেকে কোনও দুর্ঘটনা বা রোগের কারণে পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েছেন বিশেষ ভাবে সক্ষমদের দলে। এই শারীরিক অবস্থা নিঃসন্দেহেই তাঁদের জীবনযাত্রার ধরন অন্যদের চেয়ে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু এমন ব্যক্তিদের যে যৌন চাহিদা নেই, সেটা ভাবলে ভুল হবে।
advertisement
আর ঠিক এই জায়গা থেকেই বিশেষ ভাবে সক্ষমদের এই শারীরিক দাবি নিয়ে কাজ করতে চলেছে টেট্রা। সমাজে এই ধরনের সদস্য যাঁরা রয়েছেন, অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে তাঁদের যৌনজীবনও উপেক্ষিত হয়ে থাকে। যা বেঁচে থাকার কষ্ট অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। চাইলেও এঁরা যৌন সঙ্গী বা সঙ্গিনী পান না। এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে একমাত্র সেক্স টয়।
কিন্তু বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সেক্স টয় যে বাজারে পাওয়া যায় না, এমনটা কিন্তু নয়। হ্যান্ডি (Handi) নামে এক সংস্থা এমন পণ্য অনেক বছর ধরে তৈরি করে চলেছে। তাহলে টেট্রার উদ্যোগ বিশেষ হয়ে ওঠার দাবি করছে কোন সূত্রে?
অ্যান্ড্রু বলছেন যে এই সমস্ত সেক্স টয় কখনও কখনও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য ওজনে ভারি হয়ে পড়ে, ফলে তা ব্যবহার করতে অসুবিধা হয়। তাছাড়া বিশেষ ভাবে সক্ষমতারও অনেক দিক রয়েছে, যা এই সব সেক্স টয় তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয় না। তাই ব্যক্তিভিত্তিক প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে সংস্থা। এখানে নানা ধরনের বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে, শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে মানানসই কেমন সেক্স টয় হলে ভালো হয়, তা লিখে রাখা হচ্ছে।
এই গবেষণা শেষ হলে তার পর বিশেষজ্ঞ দল সেক্স টয়ের ডিজাইন শেষ করবেন, পরের ধাপে শুরু হবে তার উৎপাদন, জানিয়েছেন অ্যান্ড্রু।