জীবনযাপন,দূষণ, অতিরিক্ত স্ট্রেস বা উদ্বেগ-এ সবই আমাদের চুল পড়ে যাওয়ার পিছনে বড় কারণ৷ লিঙ্গ, বয়স নির্বিশেষে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ সুস্থ জীবনযাপনের রুটিন নিয়মিত অনুসরণ করা প্রয়োজনীয়৷ কিন্তু সমস্যার শিকড়ে পৌঁছতে না পারলে এর সমাধান কোনওদিনই সম্ভব নয়৷ তাই, সমাধান খুঁজে বার করার সময় ভেবে দেখুন আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এই সমস্যার কারণ কিনা৷ হতেই পারে, আপনার এমন কিছু অভ্যাস জড়িয়ে আছে এই সমস্যার সঙ্গে৷
advertisement
আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোন কোন প্রসাধনী ব্যবহার করা নিরাপদ?
চুল খুব বেশি উঁচু করে খোঁপা, বিনুনি বা পনিটেল-কিছুই বাঁধবেন না৷ এর ফলে অতিরিক্ত চাপের জেরে হেয়ার ফলিকলসের চিরস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে৷ পোশাকি ভাষায় এই সমস্যার নাম ‘ট্র্যাকশন অ্যালোপেশিয়া’৷ এভাবে টেনে একই কায়দায় রোজ চুল বাঁধলে হেয়ারলাইন ক্রমশ পিছিয়ে গিয়ে কপাল ক্রমশ বড় হয়ে যায়৷ চুল সব সময় আলতো এবং আলগা ভাবে বাঁধুন৷ রোজ একইভাবে চুল বাঁধবেন না৷
আরও পড়ুন : রসুইবাগানের চিরচেনা এই উপকরণের ফেসপ্যাক মাখুন, শীতে স্বল্প খরচেই ঝলমল করবে ত্বক
চুল বেশি বার আঁচড়াবার কথা বলেন অনেক বিশেষজ্ঞই৷ কিন্তু অন্যদিকে চুল খুব বেশি আঁচড়ানোও ঠিক নয়৷ তাতে ঘর্ষণে চুল আরও রুক্ষ ও জটপ্রবণ হয়ে পড়ে৷ চুল পড়ার ক্ষেত্রে বলা হয় রোজ ১০০ টা পর্যন্ত চুল পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক৷ কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যদি নতুন চুল না গজায়, তাহলে কিন্তু চুল ক্রমশ কমতেই থাকবে৷
আরও পড়ুন : চুল শুধু ঝরছেই?নতুন চুল জন্মাচ্ছে না? সমাধান তেলের নির্যাসে
এ ছাড়া বেশ কিছু্ স্টাইলিং প্রডাক্টও চুল পড়ার জন্য দায়ী-
ব্লো ড্রায়ার্স
হিটেড কম্বস
হেয়ার স্ট্রেটনার
কালারিং প্রডাক্টস
ব্লিচিং
পার্মিং
রিল্যাক্সার
দেখতে ভাল লাগলেও চুলের উপর এই প্রডাক্ট ব্যবহার যত কম করবেন, তত চুলের ক্ষতি কম হবে৷ বহিরঙ্গে চুলের নানাবিধ যত্নের সঙ্গে ব্যালান্সড ডায়েটও প্রয়োজনীয়৷ ডায়েটে আয়রন এবং প্রোটিন থাকা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বাঞ্ছনীয়৷