ঘন চুলে: চুল আগে প্রাইমিং না করে কখনওই স্টাইল করা উচিত নয়। চুল মসৃণ ও প্রাইম করতে এবং তাপ ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করতে ব্লো ড্রাই লোশন ব্যবহার করতে হবে। এতে ব্লো ড্রাই করা সহজ তো হবেই, চুলের স্টাইলও দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকবে। চুল ঘন হলে উপরের অংশে ব্লো ড্রাই করতে হয়। এতে সময় বাঁচবে। মাথার উপরে ঘোড়ার নালের আকার অনুযায়ী হেয়ার ড্রায়ারকে ঘোরাতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিটক্সে তেঁতো পানীয় নয়, পান্তা-দই ভাত-খিচুড়ি শরীরের বিষ দূর করবে! জানুন
পাতলা চুলে: পাতলা চুলের ওজন কম। কিন্তু ফোলা দেখায়। তাই আর্দ্রতা আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। মসৃণ এবং দীর্ঘস্থায়ী ফিনিশের জন্য ভেজা অবস্থায় চুলে লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করা যায়। আর ব্লো ড্রাইংয়ের পর সিরাম ব্যবহার করা আবশ্যিক। এছাড়া পাতলা চুলে ভলিউমাইজিং পণ্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চুলের গোড়ায় লাগাতে হয় ঘন ক্রিম। আর হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে হয় চুলের গোড়া থেকে। নিখুঁত ব্লো ড্রাই করতে চাইলে শুধুমাত্র হিটেড রোলার ব্যবহার করা উচিৎ। চুল কিছুটা শুকিয়ে নেওয়ার পর ভলিউমাইজিং স্প্রে ব্যবহার করে রোলার ঢুকিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বয়স বাড়ছে, গ্ল্যামারও বাড়ছে! শ্বেতার কী রূপ...
কোঁচকানো চুলে: ডিফিউজার ব্যবহার করার সময়, কোঁকড়া চুল ব্লো ড্রাই করা সোজা চুল ব্লো ড্রাই করার মতোই সহজ। তোয়ালে দিয়ে শুকনো চুল উল্টে ব্লো-ড্রাই ক্রিম লাগিয়ে মাঝারি হিটে ডিফিউজারে আলতো স্ক্র্যাঞ্চ করতে হবে। এটা ঘন বা এলোমেলো চুলকে প্রাকৃতিক ভলিউম পেতে এবং আরও সমানভাবে শুকাতে সাহায্য করে। কোঁকড়া চুলকে আরও বাউন্সি এবং স্বাস্থ্যকর চেহারা দিতে কার্ল বাম ব্যবহার করা যায়। এরপর চুলের সামনের অংশে ব্লো ড্রাই শুরু করতে হবে।
লম্বা চুলে: লম্বা চুলে বৃত্তাকারভাবে ব্লো ড্রাই ব্যবহার করতে হয়। তবে এক জায়গায় নয়, যাতে চুলের সর্বত্র সমানভাবে ড্রায়ার পৌঁছয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। ব্লো ড্রাই করার পর আলতো খোঁপা করে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। এটা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)