আর এইভাবেই চুল পাতলা হতে থাকে এবং সমস্যা জটিল হয়ে যায়। এরকম সমস্যায় ভুগলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। বরং কয়েকটি সহজ টিপস মেনে চললে এর সমাধান হতে পারে।
চুলের ধরণ এবং ঋতু অনুযায়ী চুল ধুতে হবে। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় চুলে তাড়াতাড়ি ময়লা ও ধুলো জমে যায়, তাই এই সময় বেশি করে চুল পরিষ্কার রাখা উচিত। তৈলাক্ত চুল সপ্তাহে তিন বা চারবার ধোয়া যেতে পারে। এখন বাতাসের দূষণ অত্যন্ত বেশি এবং এই বাতাসে রাসায়নিক মিশে থাকে। ফলে আরও বেশি করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: Diaper Rash : সহজ এই নিয়মগুলি মানুন, ডায়াপার পরালেও আপনার শিশুসন্তান থাকবে সংক্রমণমুক্ত
চুলের জন্য সঠিক পণ্য বেছে নিতে হবে। এমন কোনও শ্যাম্পু বা তেল যা স্ক্যাল্পের অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এই জাতীয় পণ্য থেকে খুশকিও হয় বেশি। যদি কাজের সূত্রে বেশি করে বাইরে বেরোতে হয় তাহলে কম শ্যাম্পু ব্যবহার করে প্রতিদিন চুল ধুলেও হবে। সব সময় মোটা দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করা উচিত।
কন্ডিশনার এড়িয়ে চলাই ভালো। আমলা, শিকাকাই, রিঠা, ব্রাহ্মী, ভৃঙ্গরাজ, আর্নিকা, ত্রিফলা, হিবিস্কাস, বেল, নিম, চন্দন ইত্যাদি উপাদানযুক্ত পণ্য বেছে নিতে হবে। ত্রিফলা এবং ব্রাহ্মীযুক্ত তৈলাক্ত নয় এমন হার্বাল হেয়ার টনিক চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্ট্রেসের কারণে চুল পড়লে ব্রাহ্মী কাজে আসে।
আরও পড়ুন: Brain Foods for your child: আপনার সন্তানের পরীক্ষা চলছে? এই খাবারগুলি খাচ্ছে তো?
তেল বা শ্যাম্পুতে কাজ না হলে চিকিৎসা করানো দরকার। এছাড়াও প্রয়োজন সুষম আহার বা ব্যালেন্সড ডায়েট। কলা ওঠা ছোলাতে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খুশকি হলে এক গ্লাস জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা দরকার। ভিটামিন বি ও বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে এবং যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চাও করতে হবে।