তেলে চুল তাজা
চুল ভাল রাখতে হলে তেল দিতেই হবে। বেশি কিছুর দরকার নেই, কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল বেশ করে আলগা হাতে মাসাজ করে ঘুমিয়ে পড়লেই হল। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগালেই কাজ শেষ- এই মাসটা এটুকু করতে পারলে পুজোয় কেশদামে রূপরেখার দামিনী ঝলসে উঠবেই!
শ্যাম্পু হবে হালকা
advertisement
মানে বাজারের প্যারাবেন, সালফেটের মতো রাসায়নিকে ভরা শ্যাম্পু চলবে না, ভাল কোনও হালকা আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। তবেই চুল হবে নরম, ফুরফুরে। মণ্ডপ থেকে মণ্ডপে যখন পা পড়বে ঢাকের তালে, তার তালেই কেঁপে উঠবে চুলের বাহারও।
আরও পড়ুন : পেটে ব্যথা? দোকান থেকে ওষুধ না কিনে চুমুক দিন ঘরের চায়ে, শরীর এতেই ভাল থাকবে
হেয়ার ড্রায়ারে বিরতি
ভেজা চুল শুকিয়ে নেওয়া বা একটু ফাঁপিয়ে নেওয়ার জন্য যন্ত্রটা কাজের বটে। তবে হাজার হোক, এভাবে চুল শুকানোটা কৃত্রম, ফলে তার একটা ধকল চুলকে নিতেই হয়। তাই রোজ ব্লো ড্রাই করার অভ্যেস থাকলে সেটা এখনই ছাড়তে হবে।
হেয়ার মাস্ক
ডিপ কন্ডিশনিংয়ের জন্য নারকেল তেল, অ্যালোভেরা জেল আর শিকাকাই পাউডার দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় হেয়ার মাস্ক। মিশ্রণটা ভাল করে মেখে, শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে উঠে পড়লেই হল। সপ্তাহে বার দুই এটা করতে পারলে ভাল হয়।
আরও পড়ুন : বিরাট কোহলির মতো দাড়ি রাখতে চান? এই কয়েক তেলের যে কোনও একটা হাতে তুলে নিন, পুজোয় সবার নজর আপনার দিকেই
ভিতর থেকে যত্ন
এ সবই ছিল বাইরের কথা। চুল ভাল রাখতে হলে একটু খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারলে অনেকটা কাজে দেবে। বাইরের ভাজাভুজি তোলা থাক পুজোর দিনগুলোর জন্যই- এখন বরং নিজেকে উজ্জ্বল করে তোলাই উচিত হবে, তাই না? হাজার হোক, মা আসছেন ঝলমলে সাজে, এসে আমাদের বিবর্ণ দেখলে তাঁরও কি আর ভাল লাগবে!