নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলে প্রোটিনের জোগান দেয়। নারকেল তেলে উপস্থিত লরিক অ্যাসিডের সঙ্গে ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে অনেক ক্ষতিকর পদার্থ থেকে বাঁচায়। তাই নারকেল তেল শুষ্ক, রুক্ষ্ম চুলের কন্ডিশনার হিসাবে এবং সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটির মধ্যে তাপ-সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য থাকায় চুলকে ইউভি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- পুরুষদের বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বয়সটা সঠিক? কী বলছে গবেষণা?
অর্গান অয়েল: চুলের প্রসাধনী প্রোডাক্টে অর্গান অয়েল একটি প্রধান উপাদান। এই তেলটি টোকোফেরল, পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্বৃদ্ধ। অর্গান অয়েলে ভিটামিন এ, সি, ই এবং লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে যা চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং কন্ডিশনার হিসাবে খুব ভাল কাজ করে। তাছাড়া এটি চুলের গোড়ায় প্রদাহ কমাতে, খুশকি ও চুলকানির এবং সোরিয়াসিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চুলের পুষ্টির জন্য হেয়ার মাস্ক হিসাবে কাজ করে অর্গান অয়েল। সেক্ষত্রে ভিজে চুলে ১৫-২০ মিনিট অর্গান অয়েলের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের ডগা ফাটে না, হেয়ার ব্রোকেজের সম্ভাবনাও কমে।
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল একটি প্রাকৃতিক তেল এবং এটি অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই তেলটি খুশকি, সেবোহেরিক ডার্মাটাইটিস এবং ফলিকুলার সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি চুলের উকুন মারতেও সাহায্য করে।
ক্যাস্টর অয়েল: ক্যাস্টর অয়েল বহু যুগ ধরে চুল পড়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েলের মধ্যে রিসিনোলেইক এসিড থাকায় এটি চুলের গোড়ায় দিলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। পাশাপাশি এটি চুলে অক্সিজেন এবং পুষ্টি জোগায় বলে চুলে বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
তবে মনে রাখা দরকার- যে চুলের স্বাস্থ্যের জন্য তেল প্রয়োজনীয় হলেও অনেক সময় তেল থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই যে কোনও তেল লাগানোর আগে কানের পিছনের ত্বকে একটি প্যাচ পরীক্ষা করা উচিত। সেক্ষেত্রে যদি কোনও লালভাব বা জ্বালা অনুভূত না হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় তেলটি ব্যবহার করতে পারি আমরা।
তেল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম- সপ্তাহে অন্তত দু'বার চুলে তেল লাগাতে হবে।
সারারাত কিংবা স্নানের ১৫-২০ মিনিট আগে তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
তেল গরম করে আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। ৫-১০ মিনিটের জন্য আলতোভাবে মাসাজ করলে চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।এ ছাড়া চুল আঁচড়ানোর জন্য সবসময় চওড়া দাঁতযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করা উচিত এবং তেল মাখার পর খোপা করে চুল বেঁধে রাখা উচিত।