শুধু তা-ই নয়, কমবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস। তবে T2D ভয় ধরাচ্ছে সকলের মনে। আসলে এই সমস্য়ার সঙ্গে ওবেসিটি, খারাপ ডায়েট এবং শারীরিক কসরতের যোগ রয়েছে।
ফ্রিজে জমে উঠছে বরফের পাহাড়? করুন এই ‘ছোট্ট’ কাজ…! বার বার পরিষ্কারের ঝামেলা থেকে মুক্তি সহজেই!
advertisement
জবা গাছে ফুল আসে না? ১৫ দিন অন্তর এই ‘কালো’ জিনিস দিন গোড়ায়…! ফুল রাখার জায়গা পাবেন না!
Dr. Binayak Sinha, Endocrinologist at A M Medical Centre
এএম মেডিকেল সেন্টারের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডা. বিনায়ক সিনহা বলেন যে, T2D এমন রোগের বোঝা বহন করে, যা প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক সময় তা চোখ, নার্ভ, লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, হার্ট এবং নিম্নাঙ্গের অসাড়তা দেখা দেয়। T2D যতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে, তার জটিলতাও বৃদ্ধি পাবে। আর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেবে।
ডা. সিনহা আরও বলেন যে, সারা বিশ্বের মতো এটা ভারতবর্ষেও ভয়ঙ্কর সত্য হয়ে উঠেছে। কমবয়সী এমনকী শিশুদের মধ্যেও T2D দেখা যাচ্ছে। আসলে ওবেসিটির হার বৃদ্ধির কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা। বাচ্চারা সাধারণত অস্বাস্থ্যকর এবং ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করে। আর খেলাধূলা কিংবা এক্সারসাইজও করে না তারা। বরং ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল স্ক্রিনেই মুখ গুঁজে থাকে।
যেসব শিশুর ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের নিয়মিত শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে। ইনসুলিন নেওয়া, খাদ্যাভ্যাসের বিধিনিষেধ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি উপায়ও অবলম্বন করতে হবে। নাহলে যৌবনে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতাকে ঘিরে থাকা কলঙ্ককেও আরও বাড়িয়ে তোলে। আর এর পিছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জাঙ্ক ফুড সেবন, আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত স্ক্রিন দেখার মতো আচরণ শিশুদের জীবনযাত্রায় ঢুকে পড়েছে। এমনকী স্কুলগুলিও শিশুদের এই জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।
বর্ষার আগে যখন তখন সাপের ছোবল…! যাচ্ছে প্রাণ! রান্নাঘরের এই ‘মশলা’ সঙ্গে থাকলে লেজ তুলে পালাবে সাপ
এই প্রসঙ্গে ডা. সিনহা জোর দিয়ে বলেন যে, আমাদের সামাজিক পরিবর্তনের প্রয়োজন। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরেই নির্ভর করলে হবে না, সেই সঙ্গে স্কুল ও মা-বাবাদেরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার উপর জোর দিতে হবে। ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। তার বদলে খেতে হবে তাজা ফল এবং শাকসবজি, স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও বাদাম। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি খেলাধূলার উপরেও জোর দিতে হবে।
দ্রুত রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বও গভীর। হার্ট, কিডনি, নার্ভ এমনকী দৃষ্টিশক্তির ক্ষেত্রেও দীর্ঘস্থায়ী এই রোগ ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও এত কিছু সত্ত্বেও আশার আলো রয়েছে। বাচ্চাদের মধ্যে ওবেসিটি কমানোর লক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন ডিজিটাল টুল, কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রাম এবং স্কুল-ভিত্তিক ওয়েলনেস উদ্যোগ। শিশুদের মধ্যে খাওয়াদাওয়া এবং নিয়মিত শারীরিক কসরতের অভ্যাস তৈরি করা জরুরি।
