আরও পড়ুন: Budget 2022: বাজেটে আংশিক ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণে জোর দিক কেন্দ্র, দাবি বিশেষজ্ঞদের!
জ্বরে আক্রান্ত হলে
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক রেখা রাধামণির (Rekha Radhamony) মতে, জ্বরে আক্রান্ত হলে অশ্বগন্ধা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এই গুল্মটিতে অনেক বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্যধারী। এটি ঠাণ্ডা এবং ফ্লুর মতো রোগের কারণ থেকে প্যাথোজেন প্রতিরোধে উপকারী। কিন্তু যখন উচ্চ তাপমাত্রা থাকে তখন এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি শরীরের পক্ষে হজম করা কঠিন। জ্বর আমাদের দুর্বল করে দেয় এবং অন্যান্য অঙ্গের কাজকেও ব্যাহত করে। এই সময়ে অশ্বগন্ধা গ্রহণ করলে, পেট এটি হজম করতে সক্ষম নাও হতে পারে এবং ডায়রিয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
advertisement
অত্যধিক অশ্বগন্ধা সেবনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী ভেষজ এবং এর অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন কিছু গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণে বা প্যাকেজে উল্লিখিত পরিমাণে অশ্বগন্ধা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি গ্রহণ করলে পেট খারাপ, ডায়রিয়া বা বমি হতে পারে। তাছাড়া অশ্বগন্ধা দীর্ঘ সময় ধরে সেবন করলে লিভারের সমস্যা হতে পারে।
কোন পরিমাণে অশ্বগন্ধা সেবনের জন্য নিরাপদ
অশ্বগন্ধার জন্য কোনও আদর্শ ডোজ নেই, এটি সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস স্তরের উপর নির্ভর করে। কিন্তু গবেষণা অনুসারে, ভেষজটির নিরাপদ ডোজ ১২৫ মিলিগ্রাম থেকে ৫ গ্রাম পর্যন্ত, প্রতিদিন ২-৪টি ডোজে বিভক্ত করে খেতে হয়।
অশ্বগন্ধা গ্রহণের সঠিক সময়
পরিপূরকটি সকালে বা সন্ধ্যায় গ্রহণ করা ভাল। ব্যক্তি যদি এটি সকালে খালি পেটে খান তবে হালকা অস্বস্তি হতে পারে। তাই ব্রেকফাস্টের সঙ্গে খাওয়া ভালো।