বার্ধক্য রোধ করে: গিলয়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা কোষকে ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়, ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে তাই এর জুড়ি নেই। সূক্ষ রেখা, বলিরেখা, দাগ এবং কালো দাগ দূর করতে গিলয় অব্যর্থ।
গায়ের রঙ উজ্জ্বল করে: ফেয়ারনেস ক্রিমে আদৌ কাজ হয় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু গুলঞ্চ নিয়ে কোনও কথা হবে না। গায়ের রঙ উজ্জ্বল করতে এর জুড়ি নেই। এ জন্য গুলঞ্চ পাতা বা কাণ্ড বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর পুরু করে লাগাতে হবে মুখে। শুকনোর জন্য কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যে হাতেনাতে ফল মিলবে।
advertisement
আরও পড়ুন : আয়ুর্বেদের তৈল পাক বিধিই আজকের প্রোটিন অয়েল! চুলের সব সমস্যা দূর এই তেলেই
ব্রণ প্রতিরোধী: বলা হয় গুলঞ্চ পাতার রস খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। আদিকাল থেকেই এটা প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদে তাই একে ‘রক্তশোধক’ বলা হয়। এটা ত্বকে থাকা জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ব্রণর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সঙ্গে পরিষ্কার এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে।
ভিতর থেকে আভা এনে দেয়: গুলঞ্চ পাতার রস খেলে লিভারও ভাল থাকে। এটাই ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। সঠিক হজম এবং ডিটক্সিফিকেশন ত্বকের প্রাকৃতিক চার্জার হিসাবে কাজ করে। ত্বক রাখে পরিষ্কার, কোমল এবং উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন : শুধুই কি অপকারী, ঘি খাওয়া কি একদমই উচিত নয়, জানুন আসল কথা
একজিমা এবং ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসায়: এই ভেষজটি গুরুতর ত্বকের ব্যাধি যেমন, একজিমা, ডার্মাটাইটিস এবং এমনকী কুষ্ঠরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিলেপ্রোটিক বৈশিষ্ট্য কঠিন এবং বেদনাদায়ক ত্বকের রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা নেয়। ফুসকুড়ি এবং লালভাব কমাতেও এর জুড়ি নেই।