উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রন্ধনগাছা৷ এই এলাকার অধিকাংশ পরিবারের ব্যবসা কাঁচা বেল পাকানো৷ সারাবছরই বেলের চাহিদা থাকে৷ তবে গ্রীষ্মকালে বেলের সরবতের চাহিদা একটু বেশি৷ তবে যে পাকা বেল থেকে সরবত তৈরি হয়, কীভাবে তা পাকানো হয়, সে সব কথা অনেকেরই অজানা৷
জেনে নেওয়া যাক বেল পাকানোর পদ্ধতি--
কাঁচা বেল পাকানোর পদ্ধতি অন্যান্য ফলের মত নয়। এর পদ্ধতি আলাদা৷ বাড়ির সামনে বড় উঠোনে মাটির তলায় গুহা করা হয়। ওই গুহায় সারি সারি বেল রাখা হয়৷এক একটা গুহায় প্রায় তিন হাজার বেল ধরে।
advertisement
গুহার ওপর ছোট ছোট গর্ত করা হয়৷ ওই গর্ত দিয়ে গোবরের ঘুটে ভেঙে তুষ মিশিয়ে গুহার ভিতরে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ভাবেই জ্বলতে থাকে সাত দিন। তারপর বেল বের করা হয়।
আর পড়ুন - এ বছরেই বদলে যাবে WhatsApp, আসছে একগুচ্ছ নতুন ফিচার
এই সাতদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে মাটির গুহার ওপরের ঢাকনা খুলে দেখে নেওয়া হয়, যে বেলগুলিতে রঙ ধরেছে কিনা৷ শুধু যে আগুনের তাপে বেল পাকছে তেমনটা নয়, ঘুটে ও তুষের সঙ্গে কার্বাইডও ব্যবহার করা হয়। এতে বেলের পাকা রঙ আসে৷
বেল পাকানোর ব্যবসার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কাছে প্রথমে কাঁচা বেল আসে৷ সেই বেল গুলি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পাকানোর পদ্ধতি চলে।জানা গিয়েছে, বেল আসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রাজ্যের বাইরে থেকেও আসে, কিন্তু পাকানোর পর বেল বেশির ভাগ চলে যায় কলকাতার একটি মার্কেটে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রন্ধনগাছা এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবার এই ব্যবসায় যুক্ত৷ এক একটি বাড়িতে প্রচুর কর্মচারী কাজ করেন।