ডায়েট ম্যানেজমেন্ট
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারেন, তবে অংশ নিয়ন্ত্রণ এবং সুষম পুষ্টি অপরিহার্য। প্রধান চ্যালেঞ্জ হল পরিমিত খাবার এবং ক্যালোরির ভারসাম্য বজায় রাখা। বেশিরভাগ ব্যক্তি প্রতিদিন ৪-৫টি ছোট মিল খান, প্রতিটি খাবার প্রায় ৩০০ ক্যালোরি হয়, দিনে মোট ১,৪০০-১,৫০০ ক্যালোরি শরীরে যায়। তেল এবং মশলা সমৃদ্ধ একটি ভারী রেস্তোরাঁর খাবারে ৭০০-৮০০ ক্যালোরি থাকতে পারে। এই ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পরবর্তী খাবার হালকা হওয়া উচিত- কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি যেখানে কম। ভারী খাবারের পর খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ডিমের সাদা অংশ বা পনির বেছে নেওয়া ভাল। না খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি রক্তে শর্করার ওঠানামার কারণ করতে পারে।
advertisement
মেডিসিন ম্যানেজমেন্ট
টাইপ ১ ডায়াবেটিস: ইনসুলিন ইনজেকশনের প্রয়োজন হয়, সাধারণত দিনে চারবার। রোগীদের কখনই ডোজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় এবং ভ্রমণের সময়েও ইনসুলিন বহন করতে হবে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস: ওরাল ড্রাগ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়, যা নিয়মিত এবং নির্ধারিত সময়ে গ্রহণ করা উচিত।
অ্যালকোহল এবং উপবাস
ডাক্তাররা সাধারণত অ্যালকোহল সেবনকে নিরুৎসাহিত করেন, তবে যদি তা গ্রহণ করতেই হয়, তবে তা দুই পেগের বেশি হলে চলবে না। অঙ্কুরিত ডাল বা ছোলার মতো হালকা, কম তেলের খাবার বেছে নিতে হবে এবং ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। উপবাসেরও পরামর্শ দেওয়া হয় না, হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধের জন্য ঘন ঘন রক্তে শর্করার পরীক্ষা সহ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত।
হাঁটা এবং পায়ের যত্ন
দীর্ঘমেয়াদী ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথির কারণ হতে পারে, পায়ে সংবেদন হ্রাস করতে পারে। সর্বদা পা-ঢাকা জুতো পরতে হবে, প্রতিদিন পায়ের আঘাত পরীক্ষা করতে হবে এবং কোনও সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হল সংযম, পর্যবেক্ষণ এবং মননশীলতা। সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, সময়মতো ওষুধ গ্রহণ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ একটি স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করে।
