জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৩০ টি ব্রিটিশ কোম্পানি এই প্রজেক্ট চালুর পক্ষে মত দিয়েছেন। সপ্তাহে কর্মীদের ৩২ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন তাঁরা। এবং একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, কর্মীদের কাজের সময় কমানোর প্রভাবে তাঁদের বেতন বা অন্য সুযোগ সুবিধায় কোনও ঘাটতি করা হবে না। এমনকী, এই ৩২ ঘণ্টা কাজের বিষয়টি প্রয়োজনে কর্মীরা ৫ দিনেও পূর্ণ করতে পারেন বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কফি ও অ্যালকোহল একসঙ্গে খাচ্ছেন? জানুন শরীরের উপর এর কেমন প্রভাব পড়তে পারে!
ইউ কে-তে ফোর ডে উইক ক্যাম্পেনের ডিরেক্টর জো রিল একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'সপ্তাহে চার দিন কাজের এই সিদ্ধান্ত কোম্পানিগুলির লাভই করবে। কাজের পরিমাণ তখনই বাড়ে যখন কর্মীদের লাভ থাকে। ভালো থাকতে পারেন তাঁরা।' এই ধরনের পরীক্ষামূলক পদ্ধতি এর আগে আয়ারল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করা হয়েছিল। বিশ্বের আরও বেশ কিছু দেশও এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে রাজি হয়েছে বলে খবর। সেই তালিকায় রয়েছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড।
আরও পড়ুন: অতিমারির পরে অস্থিরতা ও হতাশায় ভুগছে মানুষ, সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
আইসল্যান্ডে বহু আগে এ ধরনের একটি ট্রায়ালে দেখা গিয়েছিল, কাজের পরিমাণ প্রচুর বেড়েছিল এবং কর্মীরা অনেক কম বিধ্বস্ত ছিলেন। ফলে কাজের মানও বেড়েছিল। এমন সম্ভাবনা কি ভারতেও রয়েছে? হ্যাঁ, এ দেশেরও এমন পরিকল্পনা রয়েছে সামনে। কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের কাজের দিন নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছে। এখানেও সপ্তাহে চার দিন কাজের কথা ভাবা হয়েছে, তবে অন্য দেশের মতো কাজের সময় ভারতে এক হবে না। কাজের সময় সেক্ষেত্রে বাড়বে। নতুন নিয়ম চালু হলে সপ্তাহে চার দিন কাজ ও তিন দিন ছুটির সম্ভাবনা হবে ভারতে। ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্র এ নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল ঘোষণা করতে পারে।