তবে সহকর্মীদের কাছ থেকে উল্টো পরামর্শই পেয়েছিলেন সতীশ৷ সকলে তাঁকে বলেছিলেন পুলিশের চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজ করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়৷ কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তিনি৷ কারওর কথায় কান না দিয়ে নিজের হৃদয়ের কথাতেই সায় দেন৷ সতীশ জানান তিনি প্রথমে ছাগলপালন করতে শুরু করেন৷ তাঁর তিন একর জমিতে ছাগলের খাদ্য উৎপাদন করতে থাকেন৷
advertisement
আরও পড়ুন : অফিসের কাজের টেবিল সাজান এই বাস্তু পরামর্শ মেনে, চাকরিতে উন্নতি ও লক্ষ্মীলাভ হবেই
তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সতীশের বাবা মা-ও৷ কিন্তু তাঁদের ভরসা রাখতে বলেছিলেন সতীশ৷ নিজের দেওয়া কথা রেখেছিলেন তিনি৷ চাষ শুরুর ৬ মাসের মধ্যেই যথেষ্ট উপার্জন করতে শুরু করেন৷ বর্তমানে কৃষিকাজ, ছাগলপালন ছাড়াও ‘পাওয়ার স্ম্যাক’-এর মালিক তিনি৷ বর্তমানে এটাই তাঞ্জাভুরের সবথেকে বড় জিম৷ রোজ পশুপালন ছাড়াও জিমের দেখভাল করেন তিনি৷
এখন ১৫০ টি ছাগল প্রতিপালন করেন সতীশ৷ উদ্বৃত্ত পশখাদ্য বিক্রি করেন আশেপাশের গ্রামে৷ বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে প্রতি মাসে ছয় অঙ্কের উপার্জন করেন তিনি৷ ব্যক্তিগত জীবনে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনদর্শনে বিশ্বাসী৷ তিনি বিশ্বাস করেন, জীবনে ফলাফলের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া৷ তাই কোনও আশা না করে তিনি নিজের স্বপ্নের পিছনে এগিয়ে চলেছেন৷