অন্যদিকে নামী রন্ধনশিল্পী কুণাল কপূর মনে করেন ভারতীয় খাবারের রসাস্বাদনের সেরা উপায় হাত দিয়ে খাওয়া৷ এতেই সবরকম ইন্দ্রিয় তৃপ্ত হয়৷ খাবারের স্বাদ ও গুণ গ্রহণ করা যায়৷ তবে তাঁর মতে হাতের আঙুলের অগ্রভাগ প্রবেশ করবে মুখের মধ্যে৷ সম্পূর্ণ হাতের অংশ নয়৷ প্রাচীন আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার গুরুত্ব গভীর৷ এখানে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠকে স্থান, তর্জনীকে বায়ু, মধ্যমাকে অগ্নি, অনামিকাকে জলের প্রতীক এবং কনিষ্ঠাকে পৃথিবীর প্রতীক বলে মনে করা হয়৷
advertisement
যখন আমরা হাত দিয়ে খাবার স্পর্শ করি, তখন মস্তিষ্ক সজাগ হয় যে আমরা খাবার গ্রহণ করতে চলেছি৷ এর পর মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের পরিপাক যন্ত্রকে সক্রিয় করে৷ ফলে পরিপাক ক্রিয়া নির্বিঘ্নে হয়৷ পুষ্টিবিদ পায়েল কোঠারিও মনে করেন হাত দিয়ে খেলে খাবার সহজে হজম হয়৷ তাছাড়া হাত দিয়ে খাবার খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়৷ ধারণা তাঁর৷ জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে৷ হাত দিয়ে খেলে উৎসেচক ক্ষরণ হয়৷ ফলে হজমের সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ গ্যাস, অম্বল, বদহজম সংক্রান্ত সমস্যা কমে যায়৷
আরও পড়ুন : কনকনে ঠান্ডায় বর্ষবরণ? নাকি পৌষের অকাল গরম? সপ্তাহ শেষে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানুন পূর্বাভাস
খাবারের স্বাদ ও গন্ধ ভালভাবে উপভোগ করা যায় হাত দিয়ে মেখে খেলে৷ কমে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও৷ হাত দিয়ে খেলে খাবারের প্রক্রিয়া ধীর গতির হয়৷ ফলে আহারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়৷ রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে৷ মধুমেহ রোগীদের ক্ষেত্রে তা খুবই উপকারী৷ হাত দিয়ে খাবার খেলে কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷