১। মিষ্টি দই
বাঙালি দই খাবে না, তা হয় না। আর সেটা যদি মিষ্টি দই হয় তো কথাই নেই। কিন্তু প্রতি দিন মিষ্টি দই খাওয়া মানে কিন্তু শরীরে বিষ ঢোকানো। এতে ক্যারামেলের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে। যা শিশুদের হাইপারঅ্যাকটিভ করে তোলে। প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
২। টম্যাটো সস
advertisement
প্যাকেটজাত টম্যাটো সসে ‘বিসফেনল এ’ থাকে। যার ফলে শরীরের হরমোনাল সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সস প্রতি দিন খেলে অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
আরও পড়ুন - Weather Update: হুড়মুড়িয়ে নামছে তাপমাত্রার পারদ, ‘এই’ এলাকায় জারি অরেঞ্জ অ্যালার্ট
৩। স্যালাড ড্রেসিং
স্যালাড ড্রেসিংকে টাটকা এবং সুস্বাদু করতে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত খেলে ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হবে। স্নায়ুতন্ত্রেরও ক্ষতি করে। বাজার চলতি ড্রেসিং স্যালাডে আবার কৃত্রিম রঙ মেশানো হয়। যার ফলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪। পিনাট বাটার
শুধু শিশুরা নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও পিনাট বাটারের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে রাজি নয়। কিন্তু এতে আছে ক্ষতিকর অ্যাফ্লাটক্সিন। যার অত্যধিক ব্যবহারে লিভারের রোগ অবশ্যম্ভাবী। এমনকী লিভার ক্যানসারও হতে পারে।
আরও পড়ুন - Panchang 4 January: পঞ্জিকা ৪ জানুয়ারি: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!
৫। আচার
ভাত থেকে পরোটা সঙ্গে এক চিমটি আচার। যেন জিভে স্বর্গ নেমে আসে। কিন্তু অতিরিক্ত আচারও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ প্যাকেটজাত আচারে ঠাসা থাকে সোডিয়াম বেনজয়েটের মতো ক্ষতিকর রাসয়নিক। যা মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্ষতি করে। সঙ্গে অতিরিক্ত তেল এবং নুন থাকায় স্টমাক ফাংশান বিগড়ে যায়।
৬। প্রক্রিয়াজাত মাংস
প্রক্রিয়াজাত মাংস খেতেই মজা। কিন্তু কোনও উপকার নেই। উল্টে অতিরিক্ত খেলে দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মাংসের স্থায়িত্ব বাড়াতে যে ‘প্রিজারভেটিভ’ ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল নাইট্রেইটস এবং নাইট্রাইটস। এগুলি শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান তৈরি করে। বিশেষ করে ‘কোলোরেক্টাল’ বা মলাশয়ের ক্যানসার।
৭। স্যুপ
স্বাস্থ্যকর স্যুপ, অর্থাৎ অথেনটিক স্যুপ বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান ও মশলা দিয়ে তৈরি কম চর্বি, কম নুন আর মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট–সমৃদ্ধ তরল খাবার। কিন্তু প্যাকেটের স্যুপ থেকে সাবধান। এতে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, ক্যারামেল কালার এবং ম্যালটোডেক্সট্রিন থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজ এবং ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
৮। পপকর্ন
পপকর্ন স্ন্যাকস হিসেবে তখনই স্বাস্থ্যকর যখন তা ঘরে তৈরি তেল ও অতিরিক্ত নুন ছাড়া বানানো হয়। বাজারে যে সমস্ত মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন পাওয়া যায় তাতে প্রচুর সোডিয়াম ও কেমিক্যাল থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে পারফ্লুরোওকটানোয়িক অ্যাসিডও থাকে। যাকে বিষ বললেও কম বলা হয়।
৯। প্রোটিন বার
জিম বা ওয়ার্ক আউটের পর অনেকেই প্রোটিন বার খান। এটাই ফাইবার এবং প্রোটিনের সহজ উৎস। কিন্তু এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ক্যারামেল রঙ এবং জিঙ্ক অক্সাইডও শরীরে যাচ্ছে।মনে রাখতে হবে, জিঙ্ক অক্সাইড সেই রাসায়নিক যা সান স্ক্রিনে থাকে। বোঝাই যাচ্ছে এটা শরীরের কী ক্ষতি করছে!
১০। ক্যানড ফুড
সিংহভাগ ক্যানড ফুডে অ্যাডেড সুগার কিংবা হাই ফ্রুক্টোজ , রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট , ট্রান্স ফ্যাট , প্রসেসড ভেজিটেবল অয়েল থাকে যা থেকে পরবর্তীকালে ওবেসিটি, হার্ট ডিজিস, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ পাশাপাশি প্রতিটি ক্যানড খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিসারভেটিভ থাকায় মারণরোগ ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে৷