বেশি পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়া
রোগ প্রতিরোধমূলক ওষুধ হিসাবে উদ্ভিদের শক্তিকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। ফল, শাকসবজি, বাদাম, শস্য এবং শিম জাতীয় সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রাকৃতিক ভিটামিন C এবং E যুক্ত পালং শাক, মেথি, লালশাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি আমাদের শরীরে ইমিউন শক্তি বৃদ্ধি করে। মাশরুম, বাদাম, কুমড়োর বীজ, তিলের বীজ, মসুর এবং মটরশুটিতে রয়েছে প্রাকৃতিক জিঙ্ক।
advertisement
আরও পড়ুন-ওরাকল স্পিকস ৫ জানুয়ারি: দেখে নিন ভাগ্যফল, জেনে নিন কোন চিহ্ন বয়ে আনছে সৌভাগ্য!
অত্যাধিক প্রদাহজনিত খাদ্য না খাওয়া
কেউ যদি হাঁটুর ব্যথা, ব্রন বা মাথাব্যথা ইত্যাদিতে ভোগেন তবে দুধ এবং দুধজাত পণ্য (দই, মাখন, পনির, ঘি) না খাওয়াই শ্রেয়। তবে সপ্তাহে মাত্র ১-২ দিন এগুলি সামান্য পরিমাণে খাওয়া যেতেই পারে। এ কথা ঠিক যে, দুগ্ধজাত খাবার এড়ানো কঠিন, তবে এর বিকল্প হিসেবে ভেগান পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিজেকে প্রস্তুত করা
কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজের জন্য জিমে যাওয়া প্রয়োজন নেই। আমরা সঠিক পরিমাণে পরিশ্রম করছি কি না নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভালো নিয়ম হল যদি আমরা ব্যায়াম করার সময় সামান্য কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারি এবং যাতে আমাদের শ্বাসকষ্ট অনুভূত না হয়। উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আরও কিছুটা এক্সারসাইজ করা যেতেই পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম
সাধারণ জীবনধারা পরিবর্তনে ঘুমের গভীরতা এবং সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ ঘুম, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ এই সব কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ এমনকী সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। নতুন বছরে তাই প্রতিজ্ঞা হোক নিজেকে আনন্দে রাখা ও সুস্থ স্বাভাবিক ঘুমানোর চেষ্টা করা। রোজকার শরীরচর্চার সময় বদলে যদি সন্ধ্যায় বা রাতে স্থানান্তরিত করা যায় তবে ঘুম ভালো হবে।
আরও পড়ুন-রাশিফল ৫ জানুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
নতুন কিছু ট্রাই করা
জীবনের যে কোনও সময়ে দাঁড়িয়েই কিন্তু নতুন কিছু ট্রাই করা যায়। এতে ধীরে ধীরে জীবনে পজিটিভ এনার্জি আসতে শুরু করবে। প্রকৃতপক্ষে, অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নির্দিষ্ট কোনও শখ নেই এমন মানুষরা কিন্তু বেশিরভাগ সময় অনেক তাড়াতাড়িই জীবনের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
উপরের এই পাঁচটি টিপস নিয়ে নিজেদের মতো করে গবেষণা চলতেই পারে। তবে এই নতুন বছরে নতুন কিছু করতে ডা. জেনিফারের পরামর্শে বিশ্বাস রাখা ভালো।