আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ভুলগুলিকে অভিভাবকদের এড়িয়ে চলা উচিত-
আপনি রেগে থাকাকালীন সন্তানকে কিছু শেখানো :
কোন কারণে যদি আপনার মেজাজ খারাপ থাকে এবং আপনি সন্তানের কোন ভুলের কারণে রেগে থাকেন , তাহলে ভুল করেও সেই মুহূর্তে আপনার সন্তানকে কিছু শেখাতে যাবেন না। বকাবকি করে তাদরে বোঝাতে গেলে হিতে বিপরীত হবে এবং উল্টে সন্তানরাও রাগান্বিত হয়ে পড়তে পারে। তাই প্রথমে আপনার উচিত নিজেকে শান্ত করা এবং না রেগে ভালোভাবে শিশুকে কোন জিনিস বোঝানো। এতে ফল ইতিবাচকই হবে।
advertisement
তাদের ভিতরের অনুভূতি না বোঝা :
অভিভাবক হিসাবে নিজের সন্তানের মন বুঝে ওঠা খুব জরুরি। ভালোবাসা দিয়ে তাদের এতটাই নিজের কাছে টেনে আনুন যাতে তারা নিজেদের সমস্যা আপনার সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারে, মন খুলে কথা বলতে পারে। এতে শিশুর সঙ্গে অভিভাবকের সম্পর্ক আরো মজবুত এবং গভীর হবে। অভিভাবক এবং শিশুর মধ্যে ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট শিশুদের মধ্যে আত্মবোধ এবং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
সন্তানের কাছে অযৌক্তিক প্রত্যাশা রাখা :
অভিভাবকদের সন্তানের কাছে অহেতুক প্রত্যাশা রাখা কখনই উচিত নয়। সন্তানকে বড় করার এই প্রক্রিয়াতে এমন সময় আসতেই পারে যখন বিশেষ কোন কারণে আপনি সন্তানের ওপর বিরক্ত হয়ে যান এবং তার ওপর বকাবকি করেন। শিশুদের টয়লেট প্রশিক্ষণ দেওয়ার পড়েও যখন আপনার শিশু বিছানা ভিজিয়ে ফেলে এবং তাকে আপনি বকাবকি করতে থাকেন, তাতে শিশুদের অভ্যেসের পরিবর্তন হয়না, বরং তারা আরও বেশি রেগে যায়। তাই এইটুকু বয়সে তাদের কাছে এমন কিছু প্রত্যাশা করবেন না যা তাদের পক্ষে মেনে চলা একটু কঠিন , তাই যা তাদের পক্ষে সুবিধাজনক বা বিকাশগতভাবে সক্ষম, চেষ্টা করুন সেদিকে নজর দিতে এবং তাদের সহায়তা করতে।
শিশুদের অহেতুক বকাঝকা করা :
শিশুদের কোন কিছু বোঝাতে বার বার তাদের একই জিনিস বলতে থাকটা শিশুদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই চেষ্টা করুন সারাদিন একই কথার পুনরাবৃত্তি না করতে এবং যদি কিছু শেখাতে বা বোঝাতেই হয় তাহলে ভালোভাবে বসে বোঝান বা কাছে ডেকে শেখান। এতে শিশুরাও আপনার কথার ম্যান রাখবে এবং তাদের মনের ওপরেও এর কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
সন্তানের সামনে লড়াই করা :
বাবা মা হিসাবে আপনাদের কখনই সন্তানের সামনে চিৎকার চেঁচামেচি বা মারামারি করা উচিত নয়। কারণ আপনার সন্তানের ওপর এর কুপ্রভাব পড়ে। বাবা ম,এ উভয়েরই উচিত একে অপরকে সম্মান দিয়ে কথা বলা এবং যে কোন পরিস্থিতিতে লড়াই এবং অশান্তি এড়িয়ে চলা। এইক্ষেত্রে আর একটি কথা যা অবশ্যই মা বাবাদের মনে রাখা উচিত সেটা হল সন্তানকে ভুলেও আপনাদের অশান্তির মধ্যে টেনে আনবেন না। এতে তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।