প্রস্রাবের সংক্রমণ-জনিত জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা থাকে না। শীত করে, প্রস্রাব করার সময়ে ব্যথা ও জ্বালা অনুভূত হয়, তলপেটে ব্যথা করে, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হয়, প্রস্রাব ঘোলাটে বা লালচে হতে পারে। শরীর দুর্বল লাগে! এই ধরনের লক্ষণ দেখলে রুটিন ইউরিন টেস্ট ছাড়া ইউরিন কালচার এবং দরকার হলে আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান, এক্স রে করতে হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বা জেল ব্যবহার করবেন না! তবে ঘরোয়া টোটকায় উপশম মিলবে। তারপরেই না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ খুব দরকার!
advertisement
আরও পড়ুন:
জল খেতে হবে বেশি করে: শরীরে জলের ঘাটতি যেন না হয়! প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা গেলেই দেরি না করে দিনে কম করে আড়াই লিটার জল খান। দরকারে জলের পরিমাণ আরও বাড়াতে হতে পারে। খুব বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখবেন না! এতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। মোট কথা বেশি করে জল খেতেই হবে।
ভিটামিন সি: ইউটিআই হলে খাবারে বেশি করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা! ভিটামিন সি ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়াকে মেরে ফেলে! এই সময় খান মুসাম্বি, কমলালেবু, কিউয়ি, ব্রকোলি, পেঁপে, স্ট্রবেরি!
আনারস: আনারসে আছে ব্রোমেলাইন! যারা ইউটিআইতে ভোগেন তাদের সাধারণত ব্রোমেলাইন সমৃদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়! গবেষণায় দেখা গিয়েছে এ ক্ষেত্রে আনারস খুব কাজের। প্রতিদিন আনারসের রস এই সময় অবশ্যই খান! জ্বালা ভাব কাটবে। সমস্যা দূর হবে!
আরও পড়ুন: গলায় পেঁচানো একাধিক সাপ! সাপেদের সঙ্গে স্নান করতে ঢুকে একী ঘটল? ভাইরাল ভিডিও
দই: দই খান। এতে প্রোবায়োটিক থাকে। যা ব্যাকটেরিয়েরা সমস্যা কমায়। প্রতিদিন নিয়ম করে দই খেতে হবে! টক দই খেতে পারলে বেশি ভাল। এতে শরীরের উপকার হয়! এমনকি খাওয়ার পর যদি প্রতিদিন দই খাওয়ার অভ্যেস করেন, তাও কিন্তু শরীরের জন্য ভাল। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের ঝুঁকি একেবারেই কম থাকে।
বেকিং সোডা: ইউটিআই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে বেকিং সোডাও কাজে আসে। ছোট চামচের আধ চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস জলে গুলে খান। এটা একবার খেলেই কাজ দেয়। প্রস্রাবের জ্বালা সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। তবে বেশি খাবেন না! কারণ শরীরের ক্ষতি করতে পারে অতিরিক্ত বেকিং সোডা। তাই খেলে একবারই খান। কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন! (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। )