মুঠি বন্ধ করা এবং চেপে ধরা
এই এক্সারসাইজে, আঙুলগুলো মুঠো করার জন্য মুড়তে হবে। এর পর হাত চেপে ধরে এই অবস্থানে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে৷ হাত ছাড়ার পরে, হাতের তালু স্বাভাবিকের চেয়ে খানিক সাদা হয়ে গিয়েছে চোখে পড়বে, যা এই সময়ে রক্ত চলাচল কম হওয়ার জন্য হয়৷ এই অবস্থানে হাতের তালু পর্যবেক্ষণ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখতে হবে স্বাভাবিক রঙে ফিরতে কতক্ষণ সময় লাগছে। যদি অসাড় বোধ হয় বা রক্ত ফিরে আসতে বেশি সময় লাগে, তাহলে এটি আর্টারিওস্ক্লেরোসিসের (Arteriosclerosis) লক্ষণ হতে পারে। আর এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের বাকি অংশে অক্সিজেন এবং পুষ্টি বহনকারী রক্তনালীগুলি পুরু ও শক্ত হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - Beauty Tips:আপনার হাতের কাছেই থাকে এই দুটি জিনিস, ক্যাটরিনা কাইফের মতো ত্বকের জেল্লা পেতে এতেই হবে কামাল
নখের গোড়া চেপে ধরা
পরবর্তী এক্সারসাইজ হল প্রতি ৫ সেকেন্ডের জন্য নখের গোড়াকে চেপে ধরা। আগের এক্সারসাইজের মতো একইভাবে, এক্ষেত্রে নখের গোড়াগুলি সাদা হয়ে উঠবে৷ যদিও এই এক্সারসাইজে, রক্তের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নেবে না৷ যদি ব্যথা এবং অস্বস্তি হয়, তাহলে প্রতিটি আঙুল থেকে কী কী বোঝা যাবে জেনে নেওয়া যাক-
বুড়ো আঙুলের ব্যথা নিঃশ্বাসের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তর্জনী কোলন অথবা হজম সংক্রান্ত সমস্যার উপসর্গ হতে পারে। মধ্যমা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার একটি সঙ্কেত। অনামিকায় ব্যথা বা অস্বস্তি হলে হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাও হতে পারে। অবশেষে কনিষ্ঠ আঙুলটি অন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
এভাবেই প্রতিটি আঙুল শরীরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যুক্ত, তাই আঙুলের কোনও লক্ষণ দেখে শরীরের সেই নির্দিষ্ট অংশের সমস্যা চিহ্নিত করা যায়৷
আরও পড়ুন - Panchang 1December: পঞ্জিকা ১ ডিসেম্বর: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!
পা উপরে তোলা
এই টেস্টের জন্য, মাটিতে মুখ নিচের দিকে করে শুতে হবে এবং শরীরের সঙ্গে সোজাভাবে হাত রাখতে হবে। ধীরে ধীরে দু'টি পা তুলতে হবে, যেখানে আমাদের শরীর মাটিতে আরামদায়ক অবস্থানে থাকবে। দেখতে হবে আমরা ৩০ সেকেন্ডের জন্য পা উপরে রেখে দিতে পারছি কি না। যদিএকইভাবে অথবা পা দু'টি একত্রে রাখতে অসুবিধা হয় তাহলে পেটে কিংবা মেরুদন্ডের নিচের দিকে সমস্যা থাকতে পারে। তবে শুধু এই এক্সারসাইজগুলো করার জন্য অতিরিক্ত কষ্ট করার প্রয়োজন নেই৷ ফলাফল ইতিবাচক না হয়ে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উচিত হবে।