ঘুমের মান
আট থেকে দশ ঘন্টা ঘুমোলে হয় তো শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায়, কিন্তু পরের দিন সতেজ থাকতে কতক্ষণ ঘুম হল তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কতটা ভাল করে ঘুম হচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন সুন্দরভাবে ঘুমালে পরের দিন সতেজ হয়ে ঘুম থেকে ওঠা যায়। তাই ঘুমের মানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বিছানায় যাওয়ার আধ ঘন্টা আগে ল্যাপটপ, মোবাইল, টিভি-র স্ক্রিনের থেকে দূরে থাকার মতো পদ্ধতির মাধ্যমে ঘুমের মানের উন্নতি করতে চেষ্টা করতে হবে।
advertisement
নিজের সঙ্গে সময়
যাঁরা খুব খোলামেলাভাবে মেশেন তাঁরা যেমন সামাজিক আলাপচারিতা থেকে এনার্জি পান, তেমনই চাপা স্বভাবের মানুষেরা এই ধরনের সামাজিক মেলামেশায় আসলে নিজেদের মনের কথা তুলে ধরতে পারেন না। তাই হারানো এনার্জি ফিরে পেতে প্রত্যেকের নিজের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত।
দুশ্চিন্তা মুক্তি
আমাদের দ্রুততার জীবনধারায় আরও একটি বিষয় সবসময় দেখা যায়, তা হল মানসিক চাপ। অতিরিক্ত পরিমাণে স্ট্রেস অনেক মানসিক জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে যা থেকে সাইকো-সোমাটিক পরিণতি হতে পারে। আর এই ধরনের মানুষের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি দেখা যায়। তাই ক্লান্তি কাটাতে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখা খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন- চুল সব পেকে যাচ্ছে এক এক করে? এখনই ডায়েটে এই খাবারগুলি রাখুন
শখ মেনে চলা
কাজ যতই পছন্দের হোক না কেন, অত্যধিক কাজ সবসময়ই নিজেকে চাপের মধ্যে রাখে। আর পেশাগত কাজ মানেই নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং অর্থের বিনিময়ে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে শুধু আনন্দের জন্য কিছু করলে সেটি মন এবং শরীরের উপর থেরাপিউটিক প্রভাব ফেলতে পারে। এটির মাধ্যমে নিজের সঙ্গে আরও ভালভাবে যোগাযোগ হয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের একটি শখের কাজ করার সময় বের করা উচিত।
ঘুরতে যাওয়া
সবসময় ক্লান্ত বোধ করার কারণ হতে পারে একঘেয়েমি, পরিবর্তনের অভাব এবং মানসিক চাপ। তাই এই সমস্যার সমাধানে প্রিয়জনের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার জন্য সময় বের করতে হবে। দৃশ্যের পরিবর্তন মন এবং শরীরকে সমানভাবে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া বেড়াতে গেলে একঘেয়েমি কেটে কাজে এনার্জি আসে।