আইল্যাশ কার্লার প্রথমবার দেখলে ভয় লাগতে পারে। আশঙ্কা জাগতে পারে, চোখের কোনও ক্ষতি হবে না তো! সংক্ষিপ্ত উত্তর হল না। ল্যাশ কার্লার চোখের পাতার লোমগুলোকে সোজা করার পরিবর্তে উপরের দিকে তুলে দেয়। তাই লোমগুলো আরও বেশি লম্বা দেখায়। আর চোখ হয়ে ওঠে দীঘির মতো টলটলে। তবে আইল্যাশ কার্লার ব্যবহার করলে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা হল।
advertisement
উপযুক্ত আইল্যাশ কার্লার বাছাই: প্রত্যেকের চোখের গঠন আলাদা। তাই একজনের আইল্যাশ কার্লার অন্যজনের কাজে নাও লাগতে পারে। কার্লার কেনার সময় এটা মাথায় রাখতে হবে। সঙ্গে দেখে নিতে হবে চোখের আকার এবং ল্যাশের দৈর্ঘ্যও। চোখের পাতার প্রতিটা লোম যাতে ধরতে পারে সে জন্য লম্বা ক্ল্যাম্প-সহ কার্লার বাছাই করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আরও পড়ুন - Fashion Tips: পুজোয় আপনিই হোন ‘রাণী’, শার্ট আর স্কার্টের সঙ্গে হার, আংটি পড়ুন এইভাবে
নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে: আইল্যাশ কার্লার নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। না হলে চোখের সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে সাবান জল দিয়ে পরিস্কার করাই ভাল। ল্যাশ কার্লার থেকে মাসকারা তুলতে মেকআপ রিমুভার ওয়াইপও ব্যবহার করা যায়। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করার জন্য সর্বোচ্চ সেটিংসে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
মাসকারা লাগানোর আগে কার্ল ব্যবহার করা উচিত: সবার আগে কার্লার ব্যবহার করতে হবে। তারপর লাগাতে হবে মাসকারা। উল্টোটা কখনওই নয়। নাহলে ল্যাশ কার্লার নোংরা হবে। চোখের লোমেও সমস্যা হতে পারে। মাথায় রাখতে হবে, সমস্যা কৌশলে, কার্লারে নয়।
কার্ল করতে হবে উপরের দিকে: কার্লার ধরে উপরের দিকে বাঁকানোই উচিত। তবেই চোখের লোমে বাঁকানো লুক আসবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। চোখের লোম তাৎক্ষণিক ভাবে উপরের দিকে বেঁকে থাকবে। এই অবস্থা বজায় থাকবে দীর্ঘক্ষণ। কার্লার ধরে সামনের দিকে বা সোজা টানা কখনও উচিত নয়। তাহলে লুকটাই মাটি।
দীর্ঘদিন একই কার্লার ব্যবহার করা উচিত নয়: দীর্ঘদিন একই আইল্যাশ কার্লার ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ কার্লিং প্যাডগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ে যেতে থাকে। তাই একটা সময়ের পর বদলে ফেলাই উচিত। কিছু কিছু আইল্যাশ কার্লারে প্যাড পাল্টে নেওয়ার সুবিধে রয়েছে। তবে সব কার্লারে এই সুবিধে মেলে না। তাই পাল্টে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।