মা দুর্গা ও তাঁর পরিবারের পোশাক ডিজাইনের প্রস্তাব পেয়ে সম্মতি জানাতে এক মুহূর্তও ভাবেননি এই সেলিব্রিটি ডিজাইনার ৷ পুজোয় মাকে সাজানোর দায়িত্ব পাওয়াটা, তাঁর কাছে সরাসরি মা দুর্গার আর্শীবাদ ৷
সাজ যখন দেবী দুর্গার, তখন তাঁর পোশাকটিও হতে হবে আরও অভিনব ৷ প্রায় ২৭ কেজি সোনা দিয়ে উমার জন্য একটি শাড়ি তৈরি করছেন তিনি ৷ যা এবারের পুজোয় ‘টক অফ দ্য টাউন ৷’
advertisement
সোনার সুতো নয়, শাড়িটিই সম্পূর্ণ সোনা দিয়ে দিয়ে তৈরি ৷ গোলাপী জারদৌসী বর্ডারে সাজানো শাড়ির জমিতে সোনার উপর ছিলাকাটা ও মিনাকারি নক্সায় ফুটে উঠেছে ময়ূর ও ফুলকারি নক্সা ৷ প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের এই ডিজাইনার শাড়িতেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা প্রতিমা ৷ ৮২তম বর্ষে এই পুজো উদ্যোক্তাদের চমক মায়ের সোনার ডিজাইনার শাড়ি ৷
তবে শুধু মায়ের নয়, দেবী দুর্গার পুরো পরিবারের জন্যই পোশাক তৈরি করছেন অগ্নিমিত্রা ৷ প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পালের সাহায্যে রীতিমতো ঝুল, মুহুরি, কোমরের মাপ অনুযায়ী চলছে ডিজাইনিংয়ের কাজ ৷ মায়ের সোনার শাড়ির উজ্জ্বলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ও অসুরের জন্যে পুজোর পোশাক বাছাই করেছেন এই জনপ্রিয় ডিজাইনার ৷
দেবী দুর্গার মতো তাঁর ছেলে মেয়েদের পোশাকেও রয়েছে অভিনবত্ব ৷ গোটা দুর্গা পরিবারের পোশাকে রয়েছে সর্বভারতীয় রুচির ছোঁয়া ৷ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের নিজস্ব স্টাইলের পোশাককে তুলে এনেছেন দুর্গা পরিবারের ওয়ার্ডড্রোবে ৷
দেবী সরস্বতীর জন্য অগ্নিমিত্রা বেছে নিয়েছেন সবুজ কাঞ্জিভরম, অন্যদিকে ধনদেবী লক্ষীকে সাজিয়েছেন ম্যাজেন্টা ঢাকাই শাড়িতে ৷ মেয়েদের হার্টথ্রব কার্তিকের জন্য আবার ডিজাইনারের পছন্দ নীল রঙের কাঁথাস্টিচের কাজ করা ধুতি ৷ লাল রঙের বালুচরী ধুতিতে সাজানো হবে পরিবারের আদুরে ছেলে গণেশকে ৷ তবে এই পরিবারের ভিলেন, অসুরের জন্য উজ্জ্বল কমলা রঙের ইক্কত কাপড়ের ধুতিই বেছেছেন অগ্নিমিত্রা ৷
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল বলে, এখন শুধু মন্ডপে পর্দা ওঠার পালা ৷ মর্ত্যবাসীর মতো দেবীও এবার সপরিবারের পুজোর পাঁচদিন সাজবেন ডিজাইনার পোশাকে ৷