ভোপাল: এমনিতে সমস্ত ফলই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু আজ এমন একটা ফলের কথা আলোচনা, যে ফলটিকে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী ফল বলা হয়। আসলে এই ফলটির নাম অ্যাভোক্যাডো। কৃষকরা যদি এই ফল চাষ করতে শুরু করেন, তাহলে অনায়াসে মালামাল হয়ে যাবেন। কারণ এক-একটি অ্যাভোক্যাডোর দাম বাজারে ২৫০-৩০০ টাকা।
বিদেশে তো চাহিদা রয়েছেই, দেশেও ক্রমে অ্যাভোক্যাডোর চাহিদা বাড়ছে। অনেকটা পেয়ারা এবং ন্যাশপাতির মতো দেখতে হয়। নানা ভাবে খাওয়া যেতে পারে এই ফল। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে ডায়েটে তা যোগ করা যেতে পারে। তাই অ্যাভোক্যাডো চাষ করে অনায়াসে টাকা রোজগার করা সম্ভব।
advertisement
ইজরায়েলের মতো কায়দায় মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অ্যাভোক্যাডো চাষ করতে শুরু করেছেন হর্ষিত গোধা। Local 18-কে তিনি বলেন, তাঁর জমিতে ৫ ধরনের অ্যাভোক্যাডো হয়। যথা – হাস, ল্যামভাস, পিঙ্কারটন, এটিঙ্গার এবং রিট। আর এই অ্যাভোক্যাডোর দাম হয় ২৫০-৩০০ টাকা।
আর এই ফল চাষ করতে গেলে চাই এমন মাটি, যেখানে নিউট্রিয়েন্টের ভাগ থাকবে বেশি। এর জন্য অ্যাসিডিক বা অম্ল মাটি নেওয়া যেতে পারে। যার পিএইচ-এর মান ৬.৭ হতে হবে। যদি ক্ষারীয় মাটিতে চাষ করা হয়, তাহলে তাতে পর্যাপ্ত জল দিতে হবে। আর মজার বিষয় হল, অ্যাভোক্যাডো উষ্ণ জলবায়ুর ফসল। তাই তাপমাত্রা থাকতে হবে ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চাষের জন্য প্রথম মাটি ভাল করে চষে নিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে গাছের বীজ বুনতে হবে। ৭ মাসের জন্য এভাবে নার্সারিতে গাছ তৈরি করতে হবে। এরপর চারাগাছ জমিতে লাগাতে ৮০*৮০ গর্ত খুঁড়তে হবে। এবার সেই গর্তে ১:১ অনুপাতে সার আর মাটি মেশাতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১২ মিটার ব্যবধান রেখে গাছ পুঁতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সেচের ভাল ব্যবস্থাও রাখতে হবে। প্রতি ২-৩ সপ্তাহে জল দিতে হবে।
হর্ষিত গোধার মতে, অ্যাভোক্যাডো চাষের আদর্শ সময় হল মার্চ থেকে এপ্রিল অথবা সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর। আসলে মার্চ-এপ্রিলে চাষ করলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ফল ধরতে শুরু করে। আর অ্যাভোক্যাডো বিভিন্ন রোগে ভীষণ উপকারী। চুল ঝরা, ত্বকের রোগ, চোখের সমস্যা সারাতে এর জুড়ি মেলা ভার। এর পাশাপাশি প্রদাহ কমাতেও দারুণ কার্যকরী অ্যাভোক্যাডো। ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর থাকবে ভাল। কোনও রোগ স্পর্শও করতে পারবে না। ফলে বিশেষজ্ঞরাও আজকাল এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ৷