কুমকুম গাছ কী: কৃষক সূর্যপ্রসাদ শুক্লা ব্যাখ্যা করেছেন যে কুমকুম গাছটি তার সুগন্ধ এবং ঔষধি গুণাবলীর জন্য পরিচিত। এর পাতা, ফুল এবং শিকড় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, ঘরোয়া প্রতিকার এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। কুমকুম ফুল থেকে প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করা হয়, যা তিলক, পূজার উপকরণ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন– সাগরে ঘনিয়েছে ঘূর্ণাবর্ত ! বাংলায় এর প্রভাব কি পড়বে? জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
সূর্যপ্রসাদ শুক্লা বলছেন যে, তিনি ঝাড়খণ্ড থেকে কুমকুম গাছটি অর্ডার করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে, অনেক গাছ আনা হয়েছিল, কিন্তু মাত্র কয়েকটি টিকে আছে। বর্তমানে, তাঁর জমিতে জন্মানো গাছগুলি আশপাশের কৃষকদেরও দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরাও এই নতুন চাষ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন।
কৃষকদের জন্য এই গাছের উপকারিতা কী: শুক্লা ব্যাখ্যা করেন যে, কৃষকরা যদি তাঁদের জমির সীমানায় কুমকুম গাছ লাগান, তাহলে তাঁরা ভাল আয় করতে পারবেন। একটি গাছ থেকে ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা আয় হতে পারে, কারণ কুমকুমের বীজ প্রতি কেজিতে প্রায় ২০০০ টাকায় বিক্রি হয়। এটি কৃষকদের খুব বেশি পরিশ্রম বা ব্যয় ছাড়াই অতিরিক্ত আয় করার একটি ভাল সুযোগ প্রদান করতে পারে।
পূজা এবং আয়ুর্বেদে ক্রমবর্ধমান চাহিদা: প্রাকৃতিক এবং জৈব পণ্যের চাহিদা আজকাল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্দির, আশ্রম এবং পূজার উপকরণ বিক্রি করে এমন ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রাকৃতিক রঙ এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক পণ্যের চাহিদা বেশি।
হনুমানজির তিলকের মিশ্রণেও কুমকুমের বীজ ব্যবহার করা হয়। বীজগুলিকে চন্দনের মতো পিষে প্রয়োগ করা যেতে পারে, যা ত্বকে শীতল প্রভাব প্রদানে সহায়তা করে। কুমকুম গাছটি চর্মরোগ, ক্ষত নিরাময়, মাথাব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়।
কৃষকদের জন্য নতুন আশা: গোন্ডার কৃষক সূর্যপ্রসাদ শুক্লার এই পরীক্ষা অঞ্চলে নতুন আশা তৈরি করছে। কেন না, কুমকুমের মতো একটি দরকারি এবং বিরল উদ্ভিদ চাষ কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে পারে এবং প্রাকৃতিক পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে।
