ক্রমবর্ধমান গরমে একদিকে জেলা হাসপাতালে যখন বর্ষাকালীন নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন আই ফ্লুয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন শহরবাসী। অমেঠি জেলায় একে একে বাড়ছে আই ফ্লুর রোগীর সংখ্যা। স্কুলের শিশুদের পাশাপাশি জেলায় বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে আই ফ্লু রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি সব কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে আই ফ্লুয়ে আক্রান্ত রোগীরা ভিড় করছেন। প্রশাসনের তরফে চোখের ফ্লুর প্রাদুর্ভাবের পর স্বাস্থ্য বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে।
advertisement
সিনিয়ার সি স্পেশালিস্ট ডা. সজ্জন কুমার জানিয়েছেন, বিগত অনেক বছর এই রোগ দেখা না গেলেও, এই বছর কিন্তু এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি জানান, তাঁদের ওপিডিতে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসছেন। এছাড়া এলাকার অন্যান্য হাসপাতালেও বাড়ছে এই ফ্লুয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রোগীদের করণীয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান সচেতনতাই এর একমাত্র সুরক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। আজ অনেক স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প স্থাপন করে প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।
কারা বেশি রোগপ্রবণ
চিকিৎসক ডা. সজ্জন কুমার জানান, এই রোগ শুরু হয় চোখের চুলকুনি থেকে। এমতাবস্থায় এই রোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে চোখ ছোঁয়ার আগে বার বার হাত ধোয়া দরকার। এর পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও সাধারণ মানুষকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে, যাঁরা এই রোগে ভুগছেন তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। বাইরে বের হলে চশমা ব্যবহার করা উচিত, চোখের ড্রপও ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখের কোনও প্রকারের সমস্যা হলে যথাসম্ভব চোখে হাত না দিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।