কিন্তু পরিস্থিতি উলটো দিকে ঘুরতে শুরু করে এপ্রিলের শুরু থেকে। আবারও দেশের বেশ কিছু জায়গায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। দৈনিক ৬০ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় মহারাষ্ট্রে। গুজরাত, ছত্তিসগঢ় ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও হু-হু করে বাড়তে থাকে করোনা। ফলে আবারও দেশে দৈনিক ২ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছায় সংক্রমণের মাত্রা।
এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন চালু হলেও করোনাবিধি মানতে হবে, বলছে প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি সঙ্গে রাখতে হবে স্যানিটাইজার ও মাস্কও। এরই সঙ্গে নয়া সমীক্ষা বলছে, খুব সাধারণ ভাবেই রোদ এই ভাইরাস সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে ফেলতে পারে। কমিয়ে ফেলতে পারে মৃত্যুর হারও।
advertisement
ছত্তিসগঢ়, মহারাষ্ট্র, গুজরাতের বেশ কিছু এলাকায় করোনা মৃতদেহ পোড়ানোর জায়গা নেই। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মানুষের। এই পরিস্থিতিতে নয়া এই সমীক্ষা বলছে, কোভিডে মৃত্যু কমাতে পারে সূর্যের আলো। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সব দেশে সূর্যের আলো পড়ে সেখানে করোনায় মৃত্যুর হার কম।
কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, রোদের জায়গায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের শরীরে UV-A রশ্মি বেশি পরিমাণে প্রবেশ করে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই UV-A রশ্মি মৃত্যুর হার কমাতে সাহায্য করে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা রোদে থাকেন, তাঁদের চেয়ে যাঁরা রোদের থাকেন না, তাঁদের করোনায় মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি।
UV-A রেডিয়েশন কী?
UV-A ৯৫ শতাংশ সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি তৈরি করে ও এটি ত্বকের সমস্ত স্তরে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে UV-C করোনার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কিন্তু এটি সরাসরি পৃথিবীতে আসতে পারে না। British Journal of Dermatology-তে প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, আমেরিকায় জানুয়ারি ২০২০ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু সমীক্ষা করা হয়েছে। ২ হাজার ৪৭৪টি মৃত্যুর ক্ষেত্রে UV পরিমাণ দেখা হয়েছে। তার পর এই একই সমীক্ষা ইতালি ও ইংল্যান্ডেও করা হয়।
UV-B নেই একদম এমন কিছু প্রদেশ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দেখা যায়, UV-B না থাকায় সে জায়গায় করোনায় মৃত্যু হার বেশি।
এই থিয়োরির পিছনে গবেষকদের বক্তব্য, নাইট্রাস অক্সাইডে করোনা কমে। এই নাইট্রাস অক্সাইড সূর্যের আলোয় ত্বকে তৈরি হয়। বেশ কয়েকটি গবেষণা বলছে, এই কেমিক্যালে SARS-CoV-2-এর কার্যক্ষমতা কমে। এর আগে এমন একটি সমীক্ষা দাবি করেছিল, সূর্যের আলোয় কার্ডিওভাসকুলার হেলথ ভালো থাকে, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে ও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে।