তিনি জানাচ্ছেন যে, বর্ষার মরশুমে নানা রকম সমস্যা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি হবু মায়েদের।
মাইল্ড সোপ ব্যবহার করে স্নান করা আবশ্যক।
দেহের ইন্টিমেট বা গোপন অংশগুলিও সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং শুকনো রাখতে হবে।
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ভিজে জামাকাপড় ছেড়ে শুকনো জামাকাপড় পরে নিতে হবে। আসলে এতে ফাঙ্গাস বা ছত্রাকজনিক সংক্রমণ এবং ইউরিনারি ইনফেকশন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
advertisement
হাত সব সময় পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়া করার আগে এবং শৌচকর্ম করার পরে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
ডা. সর্বজিৎ রায় আরও জানান যে, হবু মায়েদের জন্য সঠিক পুষ্টি এবং হাইড্রেশন বজায় রাখাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় ঘরে তৈরি করা টাটকা খাবার, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া উচিত। তবে কাঁচা খাবার, রাস্তার খাবার কিংবা আগে থেকে কেটে রাখা ফল খাওয়া চলবে না। এতে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল সংক্রমণের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। বর্ষার মরশুমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখাটাও জরুরি। তাই সব সময় পরিষ্কার, ফোটানো অথবা ফিল্টার করা জল পান করা উচিত। সেই সঙ্গে পাতে রাখা যেতে পারে স্যুপ এবং ডাবের জলের মতো তরল খাবারও। এতে বর্ষার গোটা মরশুম জুড়েই সামগ্রিক ভাবে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
এছাড়া এই সময় টানা বৃষ্টিতে জল জমে থাকার জেরে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে। তাই হবু মায়েদের নন-স্লিপ, ওয়াটারপ্রুফ ফুটওয়্যার বা জুতো ব্যবহার করতে হবে। এতে পিচ্ছিল অংশে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমানো যেতে পারে। ওপেন স্যান্ডেল অথবা হিল ব্যবহার না করাই ভাল। সেই সঙ্গে মশাবাহিত রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য বর্ষার মরশুমে মসক্যুইটো রিপেলেন্টও ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া বাড়ির চারপাশের পরিবেশ একদম সাফসুতরো রাখতে হবে। কোথাও জল জমছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য রাখাটাও আবশ্যক। এভাবে স্বাস্থ্যবিধি, পুষ্টি এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ বজায় রাখলে গর্ভবতী মহিলারা সুস্থ থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে তাঁদের এই মাতৃত্বের সফরটাও সুন্দর এবং উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
