অস্ট্রেলীয় গবেষকদের মতে, মিলেনিয়ালদের(১৯৮৪ সালের পর জন্ম যাদের) মধ্যে বেড়েই চলেছে অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার৷ আর ক্রমাগত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে তাদের মাথায় শিং গজাতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
বায়োমেকানিকের গবেষকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে মাথার খুলির পিছন দিকে শিঙের মতো গঠন তৈরি হচ্ছে৷ যার ফলে শরীরের ওজন মেরুদন্ডের বদলে গিয়ে পড়ছে মাথার পিছনে ঘাড়ের কাছে৷ মাথার এই অংশের টেন্ডন ও লিগামেন্টের মাঝে অতিরিক্ত বৃদ্ধি হচ্ছে হাড়ের৷ যা দেখে মনে হবে খুলি থেকে শিং গজিয়েছে৷
advertisement
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ সানশাইন কোস্টের গবেষকরা জানাচ্ছেন, এর ফলে শরীরের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই মানসিক সমস্যারও শিকার হচ্ছেন অল্পবয়সীরা৷ এর আগে চিকিৎসকরা টেক্স নেক বা টেক্সটিং থাম্ব জাতীয় সমস্যার কথা বললেও অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলেই যে এই সমস্যাগুলো হয় সেই বিষয়ে কোনও সরাসরি প্রমাণ দিতেপারেননি৷
এই প্রথম গবেষকরা এই সমস্যার সঙ্গে স্মার্টফোন ব্যবহারের সরাসরি যোগের কথা বললেন৷ কারপাল টানেল সিন্ড্রোম-এর ফলে শরীরে কঙ্কালের গঠনই বদলে যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন তারা৷
অস্ট্রেলীয় মিডিয়ায় এই সমস্যাকে হেড হর্নন, ফোন বোনস, স্পাইকস বা উইয়ার্ড বাম্পস নাম দেওয়া হয়েছে৷
