TRENDING:

Driving: কোনও দেশে বাঁদিকে, কোনও দেশে ডানদিকে গাড়ি চলে! এর কারণ জানেন?

Last Updated:

মূলত শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতেই এই নিয়ম চালু করেছিল রোম (Driving)।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ড্রাইভিংয়ের (Driving) নিয়ম একেক দেশে একেক রকম। তবে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, বিভিন্ন দেশে ড্রাইভিংয়ের সিটও ভিন্ন দিকে। আমাদের দেশে ড্রাইভার গাড়ির ডানদিকে বসেন, গাড়ি যায় রাস্তার বাঁদিক দিয়ে। কিন্তু বহু দেশের ড্রাইভার বসেন গাড়ির বাঁদিকে, গাড়ি যায় রাস্তার ডানদিক দিয়ে। এর আসল কারণ কী? কেন এমন আলাদা নিয়ম হয়? এর উত্তর কখনওই আমরা ভেবে দেখিনি। আসলে, এমনটা হওয়ার পিছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। বিশ্বের জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ গাড়ির বাঁদিকে বসে ড্রাইভ করেন, বাকিরা সকলেই ডানদিকে বসে গাড়ি চালান (Driving)। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, এর প্রচলন প্রথম শুরু করে রোমানরা। রোমানরা তাদের বিশাল সাম্রাজ্যে শুধু সুন্দর সুন্দর দালানই নয়, তৈরি করেছিল সুপরিকল্পিত সড়ক ও মহাসড়ক ব্যবস্থাও। তাই তখন তাদের দরকার হয় সড়ক পরিচালনার জন্য সুষ্ঠু নিয়ম-নীতি। মূলত শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতেই এই নিয়ম চালু করেছিল রোম (Driving)।
Driving
Driving
advertisement

মনে করা হয়, পুরনো ব্রিটিশ কলোনির বেশিরভাগ জায়গায় বাঁদিকে বসে গাড়ি চালানোর প্রচলন বেশি। আবার আরেকটি তত্ত্ব বলে, বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ ডানহাতি। ফলে তাঁরা ডানদিকে বসে গাড়ি চালাতে বেশি পছন্দ করেন। মধ্যযুগের রাস্তাঘাট ছিল বিপদে ভরা। তখন চালকরা গাড়ির বাঁদিকে বসতেন, যাতে প্রয়োজনের সময় ডান হাতের সাহায্যে অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারা যায়। তা ছাড়া তখন অশ্মারোহীরাও তাঁদের বাঁহাতে রাখতেন ঘোড়ার লাগাম, যাতে ডান হাতের সাহায্যে পথে পরিচিতজনদের সঙ্গে সহজেই করমর্দন করতে পারা যায়। এভাবেই চালকের বাঁদিকে বসা এবং বাঁ হাতের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে। বিগত কয়েক শতকে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে নিজেদের দেশের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে ট্রাফিক নিয়ম-নীতি তৈরি করা হয়েছে। ১৭৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়ায় প্রথম এই নিয়মের পক্ষে আইন পাশ হয় এবং দ্রুতই কানাডা ও পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এই আইন ছড়িয়ে পড়ে।

advertisement

আরও পড়ুন: যৌনমিলনের পরই প্রস্রাব করেন? শরীরে কী হচ্ছে এর ফলে জানুন

ফ্রান্সের মাধ্যমে ইউরোপে এই নিয়মটির সূচনা হয়। ফ্রান্সে বাঁদিক ধরে গাড়ি চালানোর নিয়ম প্রচলিত ছিল। কিন্তু কেন ফ্রান্স সেই প্রচলিত নিয়ম ত্যাগ করল তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। মনেকরা হয়, ফরাসি বিপ্লবের পর পোপ সকল প্রকারের নিয়ম ত্যাগ করার উদ্দেশ্যে তাদের প্রচলিত নিয়ম ভেঙে যায়। কারও মতে, এর প্রচলন করেছিলেন নেপোলিয়ন। তিনি যে সব দেশ জয় করেছিলেন, সে সব দেশেও এই নিয়ম চালু করেছিলেন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে জার্মানি। বিংশ শতাব্দিতে জার্মানি তাঁর দখলে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও এই নিয়ম চালু করে।

advertisement

আরও পড়ুন: বলিউড তারকাদের ছোটবেলার এই ছবিগুলি দেখেছেন? চেনাই দায় আপনার প্রিয় অভিনেতাকে!

ইংল্যান্ডে তখনও প্রচলিত ছিল বাঁদিক ধরে গাড়ি চালানোর পদ্ধতি। ১৭৫৬ সালে ব্রিটেনে এই সম্পর্কিত আইন পাশ হয়। যেহেতু পৃথিবীর বেশির ভাগ অঞ্চলেই ব্রিটিশদের রাজত্ব ছিল, তাই এই নিয়মটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চালু হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চালকের আসনের স্থান পরিবর্তন করেছে। কেউ ডান দিকে রেখেছে তো কেউ বাঁদিকে। যে দেশে যে গাড়ির মডেল জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সে দেশের নিয়মও তার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। যেমন, আমেরিকায় আগে চালকের জন্য ডান দিকে আসন রাখা হত। কিন্তু ফোর্ড কোম্পানি গাড়িগুলোর বাঁদিকে চালকের আসন রাখত। আমেরিকায় এই গাড়িটি জনপ্রিয়তা পাওয়ায় সেখানে প্রচলিত নিয়মটি পরিবর্তিত হয়ে বাঁদিকে চালকের আসন স্থায়ী হয়ে যায়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Driving: কোনও দেশে বাঁদিকে, কোনও দেশে ডানদিকে গাড়ি চলে! এর কারণ জানেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল