আর এই প্রসঙ্গে এফিনগুট ব্রুয়ারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি, প্রতিষ্ঠাতা এবং মাস্টার ব্রুয়ার মনু গুলাটি বললেন, “২০১৪ সালে পুণের কোরেগাঁও পার্কে আমরা যখন প্রথম এফিনগাটের দরজা খুলি, তখন সেটা নতুন ব্রুপাবের থেকেও আমাদের কাছে অনেকটা বেশি ছিল। এটা আসলে ভারতের ক্র্যাফট বিয়ার কালচারকে নতুন ভাবে সংজ্ঞায়িত করার জন্য যেন একটা স্বপ্নের জন্ম। আমাদের এই যাত্রা মদ্যপানের জন্য একটি অন্তহীন আবেগ, শ্রেষ্ঠত্বের নিরলস সাধনা এবং এক্সপেরিমেন্টের প্রতি গভীর ভালবাসার মাধ্যমে আরও চাঙ্গা হয়েছে।”
advertisement
তাঁর কথায়, “আমাদের ব্রুয়িংয়ের পদ্ধতিই এফিনগুটকে সবার থেকে আলাদা করেছে। আমাদের বিয়ার শুধুমাত্র সাধারণ পানীয় নয়, এর মধ্যে জড়িয়ে থাকে ঐতিহ্য আর পরম্পরা। অন্যান্য শহরে আমরা ১৬টি ভিন্ন ধারার পানীয় অফার করি। যদিও কলকাতায় বর্তমানে ৬টি ভিন্ন স্বাদের ক্রাফট বিয়ারই মেলে। তবে ভবিষ্যতে এই শহরে আরও ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বিয়ার আনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি পানীয় তৈরির পদ্ধতির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে নিজস্ব একটি গল্প। যেখানে মিশে থাকে দারুণ উপকরণ এবং উদ্ভাবনী পানীয় তৈরির পদ্ধতি। আর এভাবেই তৈরি হয় ভিন্ন ভিন্ন অতুলনীয় স্বাদ। আমাদের বিয়ার পরিচায়ক এই নৈপুণ্যেরই – হ্যান্ডক্র্যাফটেড, প্রিজারভেটিভ-ফ্রি এবং খাঁটি স্বাদের নির্যাস। কিন্তু আমাদের অঙ্গীকার শুধু বিয়ারেই সীমাবদ্ধ নয়। এফিনগাটে আমরা অভিজ্ঞতা তৈরিতেও বিশ্বাস করি। আমাদের বিয়ারের পরিপূরক হিসেবে মেন্যুও ডিজাইন করা হয়েছে।
যেহেতু আমরা আমাদের ব্যবসার দিগন্তকে সম্প্রসারিত করেছি মুম্বই এবং দিল্লি থেকে এখন কলকাতায়, তাই এফিনগুটে আমাদের লক্ষ্য একেবারে অটুট এবং স্পষ্ট – আমরা ভারতের প্রতিটি কোণে খাঁটি হাতে তৈরি বিয়ারের স্বাদের নির্যাস পৌঁছে দিতে চাই। এফিনগাট শুধুমাত্র একটা ব্র্যান্ডই নয়, এটা একটা অঙ্গীকার। এমনকী কলকাতায় আমাদের যাত্রা শুরু হওয়ার পরেও এই অঙ্গীকার এতটুকু টলে যায়নি। আর দুর্দান্ত মানের বিয়ার ক্র্যাফট করার দিকেও আমরা মনোনিবেশ করেছি। যাতে গ্রাহকদের মনে সেই স্মৃতি অনেকদিন পর্যন্ত তাজা থাকে। আর কলকাতায় আমাদের নতুন ব্রুয়িং যাত্রার বিষয়ে এটাই বলতে চাই ‘‘ক্র্যাফট বিয়ার এসে গেছে। তাই এফিনগুটে সকলকে স্বাগত।”
আরও পড়ুন– নীল তো নয়ই, আর গরুর সঙ্গেও কোনও যোগ নেই; তাহলে নীলগাই কেমন ধরনের প্রাণী?
এফিনগুট ব্রুয়ারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং হেড অফ অপারেশনস মণীশ ট্যান্ডন বলেন, “এটা শুধুমাত্র আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান সম্প্রসারণ নয়, সেই সঙ্গে এটি একটি সম্ভাবনা-সহ ভাল বাজারে পদার্পণ করা এবং শহরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও অন্যধরণের স্বাদ গ্রহণ করার বিষয়ে ছিল। কলকাতা যেন আমাদের কাছে একটি অনন্য ক্যানভাস মেলে ধরেছে, যেখানে আমাদের নৈপুণ্যের কাহিনি যেন একটা ঘর খুঁজে পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এফিনগুটে আমরা উদ্ভাবনের সঙ্গে ব্লেন্ডিংয়ের ঐতিহ্যও বজায় রাখব। আমাদের বিয়ার হল মদ তৈরির শিল্পের প্রতি একটা শ্রদ্ধা। আমরা একাধিক স্বাদের বিয়ার আনতে চাই। যা বৈচিত্র্যপূর্ণ হবে। সেই সঙ্গে এর মধ্যে গভীর ভাবে স্থানীয় স্বাদের প্রতিফলন দেখা যাবে। আর এতেই মিশবে এফিনগুটের ছোঁয়া। ২০২২ সালে ভারতীয় বিয়ার মার্কেটের মূল্য ছিল ৩৮৩.৬ বিলিয়ন টাকা। আর এটাই ২০২৮ সালে ৬২২.৪ বিলিয়ন টাকার সীমা ছুঁয়ে ফেলবে বলে আশা। আর ওই বছর পর্যন্ত এটাই হবে বার্ষিক ৮.১ শতাংশ গ্রোথ রেট। মিলেনিয়াল, বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা এবং পছন্দের স্বাদ সহজেই হাতের কাছে এসে যাওয়া – এই ইতিমধ্যেই ট্রেন্ড চালু হয়ে গিয়েছে। আর কলকাতাও এই ট্রেন্ডই অনুসরণ করতে চলেছে। কলকাতার ডাইনিং কালচারে ক্রাফট বিয়ারকে মুখ্য ভূমিকায় নিয়ে আসার জন্যই আমরা রয়েছি। আসলে আমরা শুধুমাত্র বিয়ারই তৈরি করছি না, সেই সঙ্গে তৈরি করছি স্মৃতিও। যা বিয়ারের শেষ চুমুকের পরেও মানুষের মনের কোণে জ্বলজ্বল করবে। ভবিষ্যৎ আর কলকাতার জন্য উল্লাস এবং আমাদের এই অতুলনীয় যাত্রার সঙ্গী হওয়ার জন্যও উল্লাস।”