প্রথমেই মনে রাখুন গাঁদাগাছে মাটি যত্ন করে তৈরি করুন৷ তবে বেশি সার দেবেন না৷ অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করা হলে গাছ ঝাঁকড়া হতে পারে৷ কিন্তু ফুল বড় হবে না৷ বেশিও হবে না৷
যে কোনও ধরনের মাটিতেই এই ফুলের গাছ বসাতে পারেন৷ টবে বসালে কমপোস্ট ব্যবহার করুন৷ গার্ডেনিং সয়েল, কমপোস্ট ও সাদা বালি সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে মাটি তৈরি করুন৷ তার পর গাঁদা গাছ রোপন করুন৷
advertisement
গাঁদা গাছে বেশি জল কখনওই দেবেন না৷ বেশি জল দিলে গাছের গোড়ায় জল জমে যাবে৷ তাহলে গাছও পচে যাবে৷ ভাল ফুলও হবে না৷ হাল্কা থেকে মাঝারি শীতে একদিন অন্তর একদিন জল দিলেই হবে৷ বেশি ঠান্ডা পড়লে আরও কম জল দিন৷
গাঁদাগাছের জন্য চড়া রোদ্দর দরকার৷ দিনে ৫-৬ ঘণ্টা রোদ পাবে, এমন জায়গায় সব সময় রাখুন গাঁদাগাছ৷ তাহলেই যথেষ্ট ফুল আসবে৷
গাঁদা গাছে সার বেশি দেবেন না৷ নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস সম অনুপাতে আছে, এমন কোনও রাসায়নিক সার দিতে পারেন৷ জৈব সার দিতে চাইলে দিন সর্ষের খোল৷ কলার খোসা দিয়ে কমপোস্ট তৈরি করে দিতে পারেন৷
সব রকমের সার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিন৷ রাসায়নিক সার, জৈব সার বা কিচেন কমপোস্ট সব মিলিয়ে মিশিয়ে দিন৷ মাসে এক বার সার দিলেই হবে৷ গাঁদা গাছে মৌমাছি, প্রজাপতির আগমন হয় বেশি৷ তাই এই গাছের কাছে সবজি গাছ থাকলে সেখানেও পরাগমিলনের হার বৃদ্ধি পায়৷
গাঁদা গাছে শুকনো ফুল থাকলে সেটি গোড়া থেকে কেটে ফেলে দিন৷ প্রতি মাসে এক বার সার দিন৷ ১৫ থেকে ২০ দিন অন্তর নিমতেলের সঙ্গে সাবানের গুঁড়ো মিশিয়ে কীটনাশক হিসেবে দিন৷ গাঁদাগাছে বেশি পোকমাকড় হয় না৷ চেষ্টা করবেন জৈব কীটনাশক ব্যবহারের৷ রাসায়নিক কীটনাশক গাছে না দেওয়াই ভাল৷