পথেই ওদের জন্ম,পথেই মৃত্যু। চিকিৎসা তো দূরের কথা, ঠিকমতো খাবারও জোটে না দুবেলা। অনেকেই ওদের দেখে অবহেলার চোখে কিন্তু পৃথিবীতে এমনও কিছু মানুষ আছেন যাঁদের ওদের জন্য হৃদয় কেঁপে ওঠে। কোনও খবর পেলেই ছুটে যান ওদের সেবা করতে। তেমনই এক মানুষ হলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মুরাতিপুরের বাসিন্দা আমির শেখ।একটি মাছের আড়তে কাজ করে টেনেটুনে সংসার চলে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বা অসুস্থ কুকুরের খবর পেলেই চিকিৎসার জন্য ছুটে যান আমির। নিজের সাধ্যমতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করেন সেবা। আর তাঁর এই কাজে সঙ্গী মোটর সাইকেল। তাতেই বাঁধা যাবতীয় চিকিৎসার সরঞ্জাম থেকে জাল।শুধু নিজের এলাকায় নয়, অসুস্থ বা আহত কুকুরের সেবার জন্য নানা জায়গা থেকেও ডাক পড়ে পশুপ্রেমী আমিরের। আর খবর এলেই নিজেকে স্থির রাখতে পারেন না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান সেখানে।অবলা পশুর প্রতি তাঁর প্রেম দেখে এক সহৃদয় পশু চিকিৎসক শিখিয়েছেন প্রাথমিক চিকিৎসার পাঠ। আর তা দিয়েই প্রায় ২০ বছর ধরে পথকুকুরদের এভাবেই সেবা করে চলেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : বহু ইতিহাসের সাক্ষী কেলেঘাই নদীর ঘাটে পাঁচ শতক আগে পড়েছিল মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের পদধূলি
আজকের এই ব্যস্ত পৃথিবীতে, যেখানে অনেক মানুষ মানুষকেই এড়িয়ে চলে, সেখানে আমির শেখের মতো মানুষ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবলা প্রাণীদের জন্য লড়াই করে চলেছেন। প্রায় দুই দশক ধরে, প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান আর অকৃত্রিম ভালবাসা সম্বল করে, আমির শেখ হয়ে উঠেছেন অসংখ্য পথকুকুরের পরম বন্ধু।