TRENDING:

Humanity: বিনামূল্যে নকুলদানা থেকে ORS! জলসত্রকে মনে করানো চায়ের দোকানে মানবতার সহজপাঠ

Last Updated:

Humanity:স্থানীয় এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠার বেশ কিছু কারণও রয়েছে। পাঞ্জাবদা’ নিজেই জীবনযুদ্ধে লড়ছেন, তবুও এলাকার দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষের কাছে তিনিই যেন একমাত্র ভরসা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের এই চায়ের দোকানদারের চিন্তাভাবনা দেখলে কুর্নিশ জানাতে বাধ্য হবেন সকলেই। ইদানীং বহু চা বিক্রেতাকেই ভাইরাল হতে দেখা যায়। কিন্তু বর্ধমানের এই চা ওয়ালা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল না হলেও স্থানীয় এলাকায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। পূর্ব বর্ধমানের এই চাওয়ালা একেবারে অতি সাধারণ একজন মানুষ। বর্ধমানের গুসকরা শহরে রয়েছে তাঁর চায়ের দোকান। স্থানীয় এলাকায় পাঞ্জাব দা’র দোকান বললেই দেখিয়ে দেবে যে কেউ। গুসকরা শহরের কমবেশি সকলেই চেনেন এই চা বিক্রেতাকে। তবে স্থানীয় এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠার বেশ কিছু কারণও রয়েছে। পাঞ্জাবদা’ নিজেই জীবনযুদ্ধে লড়ছেন, তবুও এলাকার দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষের কাছে তিনিই যেন একমাত্র ভরসা।
advertisement

পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের বাসিন্দা পাঞ্জাব শেখ। চা দোকান চালিয়েই চলে তাঁর সংসার। তবে নিজের সংসারে অভাব থাকলেও তিনি দান করা থেকে পিছু হটেননি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার গরিব, দুঃস্থ মানুষদের বিভিন্ন সময় নানা সামগ্রী দান করে থাকেন। সেরকমই এই তীব্র গরমের সময় আবারও এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন পাঞ্জাব দা’। দোকানে চা বিস্কুটের পাশাপাশি রেখেছেন স্বাস্থ্যপানীয়, নকুলদানা, বাতাসা আর ঠান্ডা জল। পথচলতি মানুষের কথা ভেবেই তাঁর এহেন উদ্যোগ। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, “গরমের সময় সাধারণ মানুষের খুব কষ্ট হয়। আর তাঁদের দেখে আমিও অনেক কষ্ট পাই। তাই সকলকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

advertisement

বর্ধমানের এই গুসকরা শহরের বাসস্ট্যান্ডের উল্টো দিকেই রয়েছে পাঞ্জাব দা’র চায়ের দোকান। এই শহরে বিভিন্ন কাজে সারাদিনে বহু মানুষের যাতায়াত লেগেই থাকে। তবে হাজারও মানুষের মধ্যে অনেকেই তেষ্টা মেটাতে আসেন পাঞ্জাবদা’র দোকানে। তীব্র গরমে যখন নাজেহাল হতে হয় তখন সাধারণ মানুষ স্বস্তি পান এই দোকানে এসে।

একেবারে বিনামূল্যে এই চায়ের দোকানে দেওয়া হয় নকুলদানা, বাতাসা, ঠান্ডা পানীয়-সহ ঠান্ডা জল। তবে এইসব ছাড়াও দোকানের মধ্যে রাখা রয়েছে ওআরএস। কোনও ব্যক্তি গরমের কারণে অস্বস্তি বোধ করলে তাকে ওআরএস দিয়ে থাকেন পাঞ্জাবদা’। প্রতিদিন দূর দুরান্তের বহু মানুষ আসেন এই দোকানে। অভিরামপুর থেকে কর্মসূত্রে গুসকরা শহরে আসা এক ব্যক্তি উজ্বল মোহন্ত বলেন, “আমরা পাঞ্জাবদা’র দোকানে আসি। উনি খুব ভাল মনের মানুষ। বহু মানুষের উপকার করেন। এটা খুবই ভাল একটা উদ্যোগ।”

advertisement

আরও পড়ুন : হাতে টাকার পাহাড়! দারুণ চাকরি! বিয়ের যোগ! বিনিয়োগে মোটা লাভ! বুদ্ধ পূর্ণিমায় এই ৫ রাশির কপালে সৌভাগ্য-লিখন!

চায়ের দোকান চালিয়ে স্বল্প রোজগার, আবার সেখান থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা। চায়ের দোকানদারের এহেন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। একইসঙ্গে গরমে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে নেওয়া এই উদ্যোগও প্রশংসার দাবিদার। আগামী দিনেও এই ধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Humanity: বিনামূল্যে নকুলদানা থেকে ORS! জলসত্রকে মনে করানো চায়ের দোকানে মানবতার সহজপাঠ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল