সাধারণ অর্থে পারমান্যান্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর বা প্যান হল দশ সংখ্যার একটি আলফা-নিউম্যারিক নম্বর। আয়কর দপ্তরের তরফে ইস্যু করা একটি ল্যামিনেটেড প্যানকার্ডের উপর দেওয়া থাকে এই নম্বর। এটি আপনার পরিচয়পত্রের পাশাপাশি অর্থনৈতিক লেনদেন, আয়কর দানের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। এ বার এই কার্ডকেই ডিজিটাল ভাবে একটি কিউআর কোডের মধ্যে বন্দী করা হচ্ছে। এই কিউআর কোডের মাধ্যমে খুব সহজে একজন প্যান-কার্ড হোল্ডারের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। জানা যাবে তাঁর নাম, জন্মের তারিখ, ছবি ইত্যাদি।
advertisement
দেখে নিন কারা আবেদন করতে পারবেন ই-প্যান কার্ডের জন্য।
যে সমস্ত প্যান কার্ড ব্যবহারকারীদের একটি বৈধ আধার নম্বর আছে এবং আধার কার্ডের সঙ্গে রেজিস্টার করা একটি ফোন নম্বর রয়েছে, তাঁরাই এই ডিজিটাল প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যদি আপনার প্যান কার্ড থাকে, তাহলে ই-প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করবেন কী ভাবে, দেখে নিন।
১. প্রথমে এনএসডিএল-এর ওয়েবসাইটে যান।
২. তার পর প্যান কার্ড নম্বর, আধার নম্বর, জন্মের তারিখ- এই সব প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি পূরণ করুন।
৩. মনে রাখবেন এই সুবিধা একমাত্র তাঁরাই পাবেন, বর্তমানে এনএসডিএল ই-গভর্নেন্স বা আয়কর দপ্তরের ই-ফিলিং পোর্টালে যাঁদের প্যান কার্ডের আবেদন প্রক্রিয়া চলছে।
৪. আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ হয়ে গেলে ক্যাপচা এন্টার করুন।
৫. এর পর এইটিআইআইটিএসএল ওয়েবসাইট থেকে আপনার ই-প্যান কার্ড ডাউনলোড করুন।
এ ক্ষেত্রে যদি গ্রাহকের মোবাইল নম্বর ও ইমেল রেজিস্টার না করা থাকে, তা হলে একটা সংশোধনী আবেদনের খসড়া পূরণ করে গ্রাহককে আগে মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করাতে হবে। তার পর ই-প্যান কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। এ ছাড়াও ওটিপি-র মাধ্যমে ই-প্যান ডাউনলোড করার সুবিধা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওটিপি বেসড আধার অথেন্টিকেশন করাতে হবে। তার পর সেখান থেকে অনায়াসে ডাউনলোড করা যেতে পারে ই-প্যান কার্ড।
মনে রাখবেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই আপনার নামে ইস্যু হয়ে যাবে এই ই-প্যান কার্ড। তাই নির্দিষ্ট নিয়মাবলী ও শর্ত মেনে আবেদন করুন। প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পূরণ করুন আর পেয়ে যান আপনার ই-প্যান কার্ড।