তাই, পুজোর সময়ে সাজগোজটা থাক পুরো মাত্রাতেই। তাতে একটুও কমতি হলে চলবে না। তার পর জানলার ধারে, বারান্দার রেলিংয়ে ঠেস দিয়ে খানকতক ছবি আপলোড করে দিন না নিজের নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। দেখবেন, পাশের বাড়ির বা ফ্ল্যাটের কৌতূহলী কাজলটানা চোখ যেমন আপনাকে খুঁজবে, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়বে বন্ধুত্বের আবেদন।
advertisement
অনেকে অবশ্য বলে থাকেন যে ছেলেদের তেমন সাজ না হলেও চলে! রুক্ষ চুল, ঘামে ভেজা নীল পাঞ্জাবি আর জিনস-ই না কি যথেষ্ট! আমরা বলি কী, রুক্ষ চুলটা থাক, ওটা একটা এলোমেলো ঝড় তুলতে পারে অনেকের মনেই! পাঞ্জাবিটাও থাক, পুজোর ক'দিন একটা উদযাপনের মেজাজ নিয়ে আসতে। আর জিনস-টা খুলে ফেলুন!
তার পর?
১. পাড় ভাঙা গল্পেরা
বিয়ের সময়ে ধুতি সনাতন পোশাক বলেই গায়ে দিতে হয়, তা ঠিক। তবে এটাও ঠিক যে ওই সাজে যেমন সুন্দর লাগে, তেমন আর কিছুতে লাগে না ছেলেদের। তাই এ বার পুজোয় পাঞ্জাবির সঙ্গে বেছে নিন ধুতিকেই। রঙিন ধুতি বা সাদা রঙের। কিন্তু পাড়টা একটু চওড়া না থাকলেই নয়। ওটাই তৈরি করবে পাড় ভাঙা গল্পেদের। পরতে না জানলে রেডি-টু-ওয়্যার ধুতি রয়েছে, কিন্তু ধুতি প্যান্ট বা পাজামা কখনই নয়!
২. হাফ জ্যাকেটেই হাফ কাজ
মানে, আপনার দিকে কারও নজর যদি পড়ে, তা হলে তা একেবারে আটকে থাকবে গায়ে একটা হাফ জ্যাকেট থাকলে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম সহজ- পাঞ্জাবি গাঢ় রঙের হলে জ্যাকেট হালকা! তবে আমরা বলব উল্টোটা করতে। তা হলে নজর আর মজা দুই জমবে!
৩. কবজির জোর
দূর, পাঞ্জা লড়তে কে বলেছে! আপনার কবজিটা সাজিয়ে তুলুন একটা চওড়া ডায়ালের হাতঘড়িতে। আরেকটা হাতে একটু ভারি দেখে বালা পরতে পারেন- নিশ্চিত থাকুন মন্দ লাগবে না!
Written By: Anirban Chaudhury