বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌর শহরের বাসিন্দা বালুচুরী শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় বিভিন্ন রকমের নতুনত্ব বালুচুরী শাড়ি তৈরি হয়। তিনি ১২ মাস এই কাজ নিয়েই থাকেন এবং তিনি তার চিন্তা ভাবনা দিয়ে বিভিন্ন রকমের নিত্য নতুন ডিজাইনের বালুচুরী তৈরি করেন। পুজোর আগে ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটে অমিতাভ পাল সহ বালুচুরী শিল্পীদের! প্রত্যেক বছর নতুনত্ব ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করেন এই অমিতাভ পাল।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এবার পুজোতেও নতুন শাড়ি তৈরি করলেন এই শিল্পী। যার নাম রাখা হয়েছে লন্ঠন শাড়ি! কেন এই ধরনের নাম রাখা হল! আসলে আগেকার যুগে নবাবদের প্রাসাদ সাজানোর জন্য যে লন্ঠন ব্যবহৃত হত, সেই লন্ঠন এখন বিলুপ্তির পথে।
এছাড়াও বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী লন্ঠন শিল্প ও এখন বিলুপ্তির পথে! তাই এই লন্ঠনকে জীবিত রাখার জন্য অথবা লণ্ঠনকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত দেওয়ার জন্য এই বালুচুরী শাড়ির ওপর লন্ঠন কে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও এই শাড়িকে আরও সুন্দর রুপ দিতে ব্যবহার হয়েছে নবাবদের হাতির পিঠে চড়ে জার্নি এছাড়াও নবাবী কলকা দিয়ে শাড়ির আঁচলটিকে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন Success Story: অনুপ্রেরণার অপর নাম জগন্নাথ! প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পা দিয়ে লিখেই কলেজে ভর্তির আবেদন
এই শাড়িটি সম্পূর্ণ ন্যাচারাল কালারের উপর তৈরি করা হয়েছে এক মাসের পরিশ্রমে। এই শাড়ির দাম রাখা হয়েছে ৬০,০০০ টাকা। অমিতাভ পালের হাতে বানান বালুচরী শাড়ি জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, রাশিয়া, আরব সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দিয়েছে। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরেও পুজোর আগে বেশ কিছু নতুন শাড়ি বানাচ্ছেন তিনি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই লন্ঠন শাড়ি।
অনিকেত বাউরি